সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ আদিবাসী কোটা পুনর্বহালের দাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২২, ০৪:২৮ PM , আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২২, ০৪:২৮ PM
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ আদিবাসী কোটা পুনর্বহালের দাবিতে পদযাত্রা করেছে আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ। এই পদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ। তবে এতে কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে আন্দোলনকারীদের পাঁচজন প্রতিনিধি শাহবাগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে যান।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বুধবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে এলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের বাধা দেয়। পরে পাঁচজন প্রতিনিধি দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান। আদিবাসী কোটা সংস্কার পরিষদের নেতাকর্মীরা শাহবাগে জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে তারা দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অবস্থান করেন।
আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদের সদস্যসচিব অলিক মৃ বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা আমাদের মর্মাহত করেছে। পরে আমাদের প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে ৷ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলমান থাকবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বৃহৎ আন্দোলনের ফলে সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা বাতিল করে দেয় ৷ সঙ্গে সঙ্গে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা অন্তত অনগ্রসর আদিবাসী কোটা পুনর্বহালের দাবি জানায় ৷ সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেই বছরের ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, কোটা বাতিল হলেও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীরা সব সময় অগ্রাধিকার পাবেন৷ কিন্তু কোটা বাতিল-পরবর্তী ৪০তম বিসিএসের সম্প্রতি প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে আদিবাসীদের প্রতি সরকারের কোনো অগ্রাধিকার বা বিবেচনা দেখা যায়নি ৷ বিষয়টি তাদের অত্যন্ত অবাক ও হতাশ করেছে। তাদের দাবি, আদিবাসীসহ দেশের অনগ্রসর মানুষের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটার প্রয়োজনীয়তা এখনো ফুরিয়ে যায়নি।
স্মারকলিপিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তিন দফা দাবি জানিয়েছে আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ পরিষদ। দাবিগুলো হলো-প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরির নিয়োগে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা পুনর্বহালে দ্রুত নীতিমালা প্রণয়ন; সম্প্রতি প্রকাশিত ৪০তম বিসিএসে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থীদের ফলাফল পুনর্বিবেচনা; প্রথম, দ্বিতীয়সহ সব শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা নিশ্চিত এবং এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন।