এক দিনেই ১৫ চাকরির পরীক্ষা, বিপাকে চাকরিপ্রার্থীরা

চাকরির পরীক্ষা
চাকরির পরীক্ষা  © সংগৃহীত

আগামী শুক্রবার (১১ মার্চ ) একই দিনে ১৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয় ও সংস্থার চাকরির পরীক্ষা পড়েছে। শুক্রবার সকাল ও বিকেলে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা পড়েছে একই সময়ে। একই দিনে একাধিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা পড়ায় বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

গত বছরের সেপ্টেম্বরেও প্রতি শুক্রবার গড়ে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের চাকরি পরীক্ষা হয়েছিলো। একই সময়ে একাধিক পরীক্ষা পড়ায় অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। ডিসেম্বরে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় চাকরির পরীক্ষা কমে যায়।

আরও পড়ুন: এবার ঈদে ৯ দিনের ছুটি! তবে...

আবার মার্চ থেকে নতুন নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসছে। স্থগিত হওয়া নিয়োগ পরীক্ষাগুলোর পরীক্ষার তারিখও দেওয়া হচ্ছে। আবার শুরু হচ্ছে সব প্রতিষ্ঠানের চাকরির পরীক্ষা। এতে করে বিপাকে পড়ছে চাকরীপ্রার্থীরা।

আগামী শুক্রবার যে ১৫টি প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয় ও সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষার সূচি ঠিক হয়েছে, তা হলো ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত পাঁচ ব্যাংক; কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (পশ্চিম); তথ্য অধিদপ্তর; বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ; বাংলাদেশ ডাক বিভাগ; বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস; বাংলাদেশ বেসমারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ; কর কমিশনারের কার্যালয়, কর অঞ্চল-১; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পাইকগাছা পৌরসভা, খুলনা; ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি; বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন; বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) ও সাধারণ বীমা করপোরেশন।

সাদাব হোসাইন নামের এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, শুক্রবার আমার একসঙ্গে দুটি পরীক্ষা পড়েছে। আমাদের একটি চাকরির আবেদনে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা খরচ হচ্ছে। দীর্ঘদিন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না থাকায় এখন অনেক আবেদন করতে হচ্ছে। কিন্তু এক দিনেই একাধিক পরীক্ষা পড়ে যাওয়ায় একটার বেশি পরীক্ষা দেওয়া যাচ্ছে না। এতে যে টাকা গচ্চা যাচ্ছে, তা আমাদের মতো বেকারের জন্য অনেক টাকা। আবার পরীক্ষা দিতে না পারায় চাকরির সুযোগও কমে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে তেল কেনাবেচায় লাগবে রশিদ

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে যেমন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নেওয়া হয় তেমনি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করার কাজটি যদি সমন্বিত কোনো ইউনিট দেখাশোনা করতো তাইলে একই দিনে একাধিক পরীক্ষা পড়ত না। সমন্বিত কোনো ইউনিট না থাকার কারণে আমরা আগে থেকে জানতে পারি না একই দিনে কয়টি পরীক্ষা পড়ছে।


সর্বশেষ সংবাদ