জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে উত্তীর্ণদের দ্রুত নিয়োগ দাবি

  © সংগৃহীত

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মনোটেকনিক ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (টিএসসি) ব্যাপক শিক্ষক সংকট নিরসনে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন নিয়োগ প্রত্যাশী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ১০ম গ্রেডভুক্ত জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণে উদ্যোগ গ্রহণের জন্যও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে নিয়োগ প্রত্যাশী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সমাবেশ বক্তারা বলেন, ১৩ ও ১৫তম গ্রেডভুক্ত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর গং কর্তৃক রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট মামলায় রুল ইস্যু না করে বাদীদের দায়ের করা আবেদন (এনেক্স-আই) ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আদেশ প্রদান করেন। এ প্রেক্ষিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রতিষ্ঠানের ক্যাডার বহির্ভূত গেজেটেড ও নন গেজেটেড (কর্মকর্তা-কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ মোতাবেক ১৩ ও ১৫তম গ্রেডভুক্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর (সপ/টিআর) পদ হতে ১০ম গ্রেডভুক্ত জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক/নন টেক) পদে পদোন্নতির সুযোগ নেই বলে আবেদনটি নিষ্পত্তি করেন।

তা সত্ত্বেও ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরগং হাইকোর্ট বিভাগে পুনরায় রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক/নন টেক) পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর ৬ মাসের স্থগিত আদেশ প্রদান করেন। ফলে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের অধীনে প্রার্থীরা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে চূড়ান্ত ফলাফলের অপেক্ষা থাকা সত্ত্বেও জটিলতা দেখা দিয়েছে। পুনরায় ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর রিট পিটিশন দায়েরের প্রেক্ষিতে আদালতের স্থগিতাদেশের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। যা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক স্বল্পতা নিরসন প্রক্রিয়ায় সরকারের উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হবে।

বক্তারা আরও বলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠানের ক্যাডার বহির্ভূত গেজেটেড ও নন গেজেটেড (কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ মোতাবেক ১০ম গ্রেডভুক্ত জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক/নন টেক) পদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার জটিলতা নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরে যোগাযোগপূর্বক জরুরিভিত্তিতে আদালত আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সমাবেশ থেকে আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায়, নিয়োগ প্রত্যাশী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীগণ বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।

বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জি এম আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদ। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন আইডিইবির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আব্দুল মোতালেব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.ইদরীস আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মুন্তাসীর হাফিজ প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ