এনসিটিবির দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে দুদকে আবেদন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৯ PM , আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৯ PM
২০২৫ সালের নতুন পাঠ্যবই মুদ্রণে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রাক্কলিত দরের চেয়ে অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি দর দিয়ে কাজ নেয় প্রেস মালিকরা। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর) অনুযায়ী সিন্ডিকেট করে প্রেস মালিকরা বই ছাপার কাজ বাগিয়ে নিলেও দরপত্র যাচাই ও মূল্যায়নে পিপিআর ২০০৮ এর ৩১(৩) বিধি অনুযায়ী টেন্ডার প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি হলে রি-টেন্ডার সুপারিশ করার কথা। কিন্তু প্রেস মালিকরা প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশিতে টেন্ডার জমা দিলেও এনসিটিবি পুনরায় টেন্ডার না করেই কাজ দিয়ে দেয়।
এদিকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেও কবে নাগাদ শিক্ষার্থীরা নতুন বছরের বই হাতে পাবেন সেটা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানাতে পারছে না এনসিটিবি। সম্প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের এক বক্তব্য থেকে জানা যায়, চলতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীরা কবে নাগাদ সব নতুন পাঠ্যবই হাতে পাবে, তা তিনিও জানেন না।
এনসিটিবির দুর্নীতি ও অনিয়ম খতিয়ে দেখতে এবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে লিখিত আবেদন করেছেন অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন নামে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। গত ৫ জানুয়ারি দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর করা আবেদনে এনসিটিবি কর্তৃক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণের ক্ষেত্রে পিপিএ অ্যাক্ট-২০০৬ এর পরিপন্থি মাত্রাতিরিক্ত ভেরিয়েশন- যুক্ত দরদাতাকে প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ১০ শতাংশ এর অতিরিক্ত দরে কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের শত কোটি টাকার ক্ষতি প্রতিকারের বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন এই আইনজীবী।
আবেদনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন জানান, এনসিটিবি জানুয়ারির ১ তারিখে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের বাচ্চারা নতুন বই কবে পাবে, আমরা সেটাও জানি না। যদিও এনসিটিবির বই ছাপতে প্রেস মালিকরা প্রাক্কলিত দরের চেয়ে প্রায় ২১ শতাংশ বেশি টাকা ব্যয় করেছে। সরকারের অর্থ অপচয় হলো কিন্তু সুবিধা পেলো কে? এখানে দুর্নীতির সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে। তাই একজন অভিভাবক ও আইনজীবী হিসেবে আমি দুদকে আবেদন করেছি, বিষয়টির তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ কজরা প্রয়োজন।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান জানান, দুদকে আবেদনের বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। এনসিটিবির কাছে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য আসেনি।