২১ বছরে পা দিল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আজ (১৫ জুলাই) ২০ পেরিয়ে ২১ বছরে পা দিয়েছে। ১১ ডিসেম্বর ১৯৩৮ ‘দি বেঙ্গল কৃষি ইনস্টিটিউট’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের কৃষি শিক্ষার প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ।

এরপর বিভিন্ন নামে পরিবর্তিত হয়ে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ২১ বছরের যাত্রা হলেও দেশের প্রাচীনতম উচ্চতর কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে এর ইতিহাস দীর্ঘ ৮৩ বছরের।

করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণ তেমন কোনো কর্মসূচি হাতে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকালে একাডেমিক ভবন সংলগ্ন স্বাধীনতা চত্বরে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শুরু করা হয়।

এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্ত করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া, কোষাধক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন সহ অনেকে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির দীর্ঘ পথচলায় দেশের কৃষিতে এসেছে অনেক সাফল্য। ক্যান্সার প্রতিরোধী সবজি সাউ টমাটিলো-১ ও সাউ টমাটিলো-২; সরিষার উন্নতজাত সাউ সরিষা-১, সাউ সরিষা-২ ও সাউ সরিষা-৩; ভুট্টার উচ্চফলনশীল জাত সাউ হাইব্রিড ভুট্টা-১ ও সাউ হাইব্রিড ভুট্টা-২; ভিনদেশি ফুলের পরিবেশ সহিষ্ণু নতুন জাত বঙ্গবন্ধু-১ ও বঙ্গবন্ধু-২; একই গাছে আলু ও টমেটোর জাত পমেটো; ভিনদেশি সবজি ব্রাসেলস স্প্রাউট, সলুক, উন্নত পানের জাত নির্বাচন, রসুনের বিকল্প বিডি নিরা উদ্ভাবন, প্রাণিদেহে অনুজীবঘটিত রোগবিষয়ক সফল গবেষণা, ডিএনএ বার কোডিং এর মাধ্যমে সামুদ্রিক জলরাশিতে নতুন নতুন মাছের প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণাকে বেগবান করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেশকিছু বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট ও গবেষণাগার।

৮৭ একর জায়গায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এগ্রিকালচার, এনিমেল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন, এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট ও ফিশারিজ এন্ড একোয়াকালচার এই ৪টি অনুষদের তত্ত্বাবধায়নে দেওয়া হয় ৫টি ডিগ্রি।

এই ৪টি অনুষদের অধীনে চালু রয়েছে মোট ৩৫টি বিভাগ। স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিইচডি মিলিয়ে দেশি-বিদেশি ৪ হাজার ৮০৪ জন শিক্ষার্থী বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আছে। মোট শিক্ষক-শিক্ষিকা ৩২২ জন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী ৬৫৫ জন। ছাত্রদের জন্য ৩টি ও ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ২টি আবাসিক হল রয়েছে। গবেষণার জন্য রয়েছে ৫টি খামার।


সর্বশেষ সংবাদ