শাবিপ্রবি কেন্দ্রে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু, বাইরে অপেক্ষায় অভিভাবকরা
- শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৯ AM , আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০২ PM

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে (শাবিপ্রবি) প্রাচ্যের অক্সফোর্ড-খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই নিজ নিজ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন পরীক্ষার্থীরা। ভেতরে স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধতে অংশ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা আর বাইরে তাদের জন্য অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন অভিভাবকরা।
পরীক্ষার হলে তাদের সন্তান কী করছে, প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারছে কি না, সেটি ভেবেই তাদের চিন্তার যেন শেষ নেই অভিভাবকদের। তাদের মধ্যে কেউ গল্প করছেন, আবার কেউ সৃষ্টিকর্তার কাছে করছেন প্রার্থনা। নিজের সন্তান কিংবা ছোট ভাই-বোনের জন্য চিন্তার যেন শেষ নেই তাদের।
আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) শাবিপ্রবির ৪ টি বিল্ডিংয়ে ১৬৯৫ শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে বাইরে বেশ উদ্বিগ্ন দেখা যায় কয়েকজন অভিভাবককে। সরজমিনে কথা হয় কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে এবার রবি শিক্ষার্থীদের জনসংযোগ
সুনামগঞ্জ থেকে আসা কামরুন্নার বেগম বলেন, ‘আমি আমার মেয়েকে নিয়ে এসেছি। আমি চাই আমার মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাক। তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য সব সময় অনুপ্রেরণা দিয়েছি। মেয়েটা সে অনুযায়ী পড়াশোনা করেছে। আল্লাহর কাছে মিনতি আল্লাহ যেন আমার ও আমার মেয়ের মনের আশা পূর্ণ করেন।’
হারুনর রশীদ নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার খুবই চিন্তা হচ্ছে ছেলের জন্য। শান্ত থাকতে পারছি না। ঢাবিতে চান্স পাওয়ার জন্য আমার ছেলে অনেক চেষ্টা করেছে। এখন আল্লাহ চাইলে চান্স হবে, না চাইলে নাই। তবে ছেলেটা চান্স না পেলে হয়তো খুব হতাশ হয়ে পড়বে।’
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে রাখা কর্মীকে ছিনিয়ে নিল ছাত্রলীগ!
রহিমা বেগম নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘ঢাবিতে ছেলেকে পড়ানো আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। জানি না স্বপ্নটা কতটুকু বাস্তবায়িত হবে। তার কাছ থেকে ভালো কিছু শোনার অপেক্ষায় আছি।’
উল্লেখ্য, সারা দেশে বিভাগীয় কেন্দ্রে একযোগে আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই ইউনিটের মোট আসনসংখ্যা ২ হাজার ৯৩৪। এই ইউনিটে আবেদন করেছেন ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৯৯ জন। প্রতি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দেবেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী।