করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা নয়

করোনার কারণে চলতি বছর মেডিকেল কলেজ বাদে অন্য কোথাও ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি
করোনার কারণে চলতি বছর মেডিকেল কলেজ বাদে অন্য কোথাও ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি  © ফাইল ফটো

মহামারী নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশের সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরোপ অব্যাহত থাকায় ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১১ জুন) বিকেলে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক অনলাইন মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে সভায় ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনের শেষ সময়ও নির্ধারণ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রাথমিক আবেদন শেষ হবে আগামী ২৫ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে।

সভা সূত্রে জানা গেছে, দেশে চলমান সরকারি বিধি-নিষেধ (লকডাউন) উঠে গেলে এবং করোনা সংক্রমণ কমে গেলে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা দিনক্ষণ নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি।

সেক্ষেত্রে আগামী ২৫ জুন প্রাথমিক আবেদন শেষ হলে এরপর শিগগিরই বসবে ভর্তি কমিটি। তখন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভর্তি পরীক্ষা দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষাবিষয়ক টেকনিক্যাল সাব-​কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আজকের সভায় দেশে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া ভর্তির প্রাথমিক আবেদন আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত নির্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২৫ জুনের পর করোনা এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভর্তি পরীক্ষার পুন:নির্ধারিত তারিখ ঠিক করার জন্য বসা হবে। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদ বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আমরা নতুন ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করবো।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‌করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার পূর্বের তারিখ স্থগিত করা হয়েছে। তবে আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত প্রাথমিক আবেদনের সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। পরবর্তীতে সকল বিষয়ে একেক করে আলোচনার ভিত্তিতে জানানো হবে।

গুচ্ছ পদ্ধতির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।


সর্বশেষ সংবাদ