বুয়েটে ভর্তি: লিখিত পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন হতে পারে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৩০ PM , আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪৫ PM
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির লিখিত পরীক্ষা আগামী ১৬ মার্চ আয়োজনের সুপারিশ করেছে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি। তবে এ তারিখ পরিবর্তন করা হতে পারে। আগামী ১০ জানুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
বুয়েটের একটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বুয়েটের প্রথম ধাপের (এমসিকিউ) ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ তারিখ পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে আসন্ন রমজানের কারণে লিখিত পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হতে পারে। আগামী ৯ মার্চ লিখিত পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘লিখিত পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত নয়। একাডেমিক কাউন্সিল যদি মনে করে ১৬ মার্চই পরীক্ষা নেবে তাহলে সেটিই চূড়ান্ত।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৯ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষা রয়েছে। তবে এ দুটি পরীক্ষা বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না হওয়ায় ৯ মার্চ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সদস্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ আগামী ১২ অথবা ১৩ মার্চ রোজা শুরু হবে। আর রোজার মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে। আমরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ দেখেছি। ৯ মার্চ ঢাবি-চবির ভর্তি পরীক্ষা থাকলেও সেটি বুয়েট সংশ্লিষ্ট নয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। সবাই সম্মতি দিলে ৯ মার্চ লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।’
জানা গেছে, এবারও দুই ধাপে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কিং থাকবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত নম্বর থেকে প্রশ্নের মানের ২৫ শতাংশ কেটে নেয়া হবে।