মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সভায় যে আলোচনা হলো
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:১৯ PM , আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৩১ PM
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে আয়োজনের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞার দপ্তরে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত স্টেক হোল্ডারদের সভায় উপস্থিত এক অধ্যাপক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এটি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা।’
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তির নীতিমালায় পরিবর্তন আসছে
তিনি আরও বলেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল আগামীকাল ঘোষণা হলে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহেই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। আমরা আগামীকাল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে এ বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করবো। নির্বাচনের তফসিলের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে বলেও জানান তিনি।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার খসড়া বিজ্ঞপ্তি প্রস্তুত করা হবে। এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলে ডিসেম্বরের শেষ দিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানুয়ারির শেষ দিকে পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে।
এর আগে গত ১০ মার্চ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার একদিন পরই ১২ মার্চ ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৪৯ হাজার ১৯৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। পাসের হার ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলেরা পাস করেছে ২০ হাজার ৮১৩ জন, যা শতকরায় ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ ও মেয়েরা পাস করেছে ২৮ হাজার ৩৮১জন অর্থাৎ ৫৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর মেধ্যে ছেলেরা সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাবে এক হাজার ৯৫৭ জন অর্থাৎ ৪৫ শতাংশ। আর মেয়েরা সুযোগ পাবে দুই হাজার ৩৯৩ অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২২ সালের ১ এপ্রিল। এর চার দিন পর ৫ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে পাস করে ৭৯ হাজার ৩৩৭ জন। পাসের হার ছিল ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।