গুচ্ছের বিজ্ঞানের পরীক্ষা কেন্দ্রে ফোনসহ ধরা ভর্তিচ্ছু

রিক্তকোমল মন্ডল নিলয়
রিক্তকোমল মন্ডল নিলয়  © টিডিসি ফটো

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পরীক্ষায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে মোবাইল ফোনসহ এক ভর্তিচ্ছু ধরা পড়েছেন। পরে তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাবাদ করা হয়েছে।

আটক ভর্তিচ্ছুর নাম রিক্তকোমল মন্ডল নিলয়। তার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক বিল্ডিংয়ের ৩১৫ নম্বর কক্ষে। তার বাবা নাম রামেন্দ্রনাথ মন্ডল, মায়ের নাম বিচিত্রা মন্ডল।

প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদে নিলয় জানিয়েছে, ফোন বাসা থেকে ভাইব্রেট করা ছিলো। বাসা থেকে ফোন নিয়ে বের হওয়ার ভাবছিলাম ফোন রাখবো কোথায়? পরে পকেট থেকে বের করে আন্ডারওয়ারের ভেতর রেখে পরীক্ষা দিতে বসেছি। পরীক্ষা শুরুও হয়েছে। পরীক্ষার আধা ঘণ্টা সময় শেষ হওয়ার পর হলের স্যার একটা সিগন্যালে দেখতে পান আমার কাছে ফোন রয়েছে। 

তিনি বলেন, আমি একেবারে প্রথম বেঞ্চে ছিলাম। এখানে বসে ফোন বের করে দেখা বা কিছু লেখা সম্ভব ছিলো না। আমি সেকেন্ড টাইমার ছিলাম। আর পরীক্ষা দিতে পারবো না। এটাই আমার শেষ সুযোগ ছিল। আমার কৃষিগুচ্ছে আর একটা পরীক্ষা বাকি আছে। সেটাতে সুযোগ না হলে আমাকে চরম বিপদে পড়তে হবে। 

জানা গেছে, ‘এ’ ইউনিটে মোট আবেদন করেছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৩ জন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৮৭৫টি। ‘এ’ ইউনিটে আসন প্রতি লড়বে ১৭ জন ভর্তিচ্ছু।

গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৯ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছেন ৫৬ হাজার ৫৩৬ জন শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের আসন বিন্যাস করা হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মূল কেন্দ্রসহ আটটি উপকেন্দ্রে।

উপকেন্দ্র আটটি হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নটরডেম কলেজ, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ ও গভ. কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স।

পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে শেষ হয়েছে বেলা ১টায়। মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় প্রতি প্রশ্নের সঠিক উত্তরে নম্বর থাকবে এক। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে দশমিক ২৫ নম্বর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। ওই শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনটি আন্ডারওয়্যারের মধ্যে রাখায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শনাক্ত হয়নি। পরবর্তীতে পরীক্ষা শুরু হলে তৃতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সিগন্যাল শনাক্তের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনসহ ধরা হয়।জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ