এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নিতে বাউবির দুই পরিকল্পনা

এসএসসি ও এইচএসসির সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে মূল্যায়নে দুই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাউবি কর্তৃপক্ষ
এসএসসি ও এইচএসসির সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে মূল্যায়নে দুই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাউবি কর্তৃপক্ষ  © ফাইল ফটো

শিক্ষার্থীরা অটো প্রমোশন চাইলেও জ্ঞানভিক্তিক মূল্যায়নের পক্ষে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) কর্তৃপক্ষ। আর সে কারণে এসএসসি ও এইচএসসির সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে মূল্যায়নে দুই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাউবি কর্তৃপক্ষ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে সংশোধিত সিলেবাসে পরীক্ষা আর না খুললে অনলাইনে অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক মূল্যায়ন করা হবে। তবে কোন পদ্ধতিতে নেওয়া হবে তা নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।

বাউবি কর্তৃপক্ষ জানায়, জ্ঞানভিত্তিক মূল্যায়নই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার মূল কথা। করোনার প্রকোপে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক পরীক্ষাগুলো এখনও নেওয়া সম্ভব হয়নি। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাগুলো সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় নেওয়া যায়নি।

তবে করোনার প্রকোপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সময় অনলাইনে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া অব্যাহত রাখা হয়েছে। যদিও শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ কম ছিল। তবে মডিউলভিত্তিক শিক্ষার কারণে প্রায় সব শিক্ষার্থীর লেখাপড়া সম্পন্ন এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নিয়মিত উপাচার্য না থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, অটো প্রমোশন সমাধান নয়। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত মেনেই বাউবি শিক্ষা বোর্ডগুলোর মতো এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সিদ্ধান্ত নেবে। শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ও করোনার বিস্তার রোধে সবকিছু চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বাউবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কখনোই সেশনজটে রাখতে চায় না। বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল অনলাইন ও অনডিমান্ড এক্সামিনেশন নেওয়ার জন্য ওপেন স্কুলের সুপারিশ অনুমোদন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে অযাতিত সময় যাতে নষ্ট না হয় এই জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে। সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে আর যাতে আটকে থাকতে না হয় সে জন্য নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা নেওয়া, এই লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় দুই ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছেন। প্লান ‘এ’ করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা থাকলে সংশোধিত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া, প্লান ‘বি’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না গেলে অনলাইনে অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক মূল্যায়ন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পরীক্ষা নেওয়ার সব রকম প্রস্তুতি ও সক্ষমতা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তে এটি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।