শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ দাবি

ঢাবিতে প্রতীকী অনশনে শিক্ষকরা

অনশনে ঢাবি শিক্ষকরা
অনশনে ঢাবি শিক্ষকরা  © সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী অনশনে বসেছেন শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক ব্যানারে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আজ বেলা ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অনশন করবেন তারা।

অনশনে অংশ নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী বলেন, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ৩ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

প্রতীকী অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের মধ্যে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খান, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড রুশাদ ফরিদী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড মো. কামরুজ্জামান, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোসাহিদা সুলতানা রিতু, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজলি শেহরীন ইসলাম, ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ প্রমুখ।

১৩ জানুয়ারি রাত থেকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ছাত্রীরা। এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ছাত্ররাও এতে অংশ নেয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। তখন ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। পরের দিন ভিসি আইসিটি ভবনে গেলে তাকে সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পুলিশ গিয়ে অবরুদ্ধ ভিসিকে উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেণেড নিক্ষেপ করে। এতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনার পর ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আমরণ অনশনে বসেন ২৩ শিক্ষার্থী। পরে তাদের সাথে আরও ৫ শিক্ষার্থী যোগ দেন।

অনশনে অংশ নেয়া ১৯ জন শিক্ষার্থী বর্তমানে হাসপাতালে আছেন। বাকী ৯জন ভিসির বাসার সামনে অনশনস্থলে আছেন বলে আন্দোলনকারীরা নিশ্চিত করেছেন। 

শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। আলাদা করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষকও। শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতিও দ্রুত এ অচল অবস্থার অবসান চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ