ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও অনিশ্চিতায় চাঁদনী

চাঁদনী
চাঁদনী  © সংগৃহীত

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছেন না সুমাইয়া আক্তার চাঁদনী। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়ার খরচ জোগান নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে মেধাবী শিক্ষার্থী চাঁদনীসহ তার পরিবারের।

সুমাইয়া আক্তার চাঁদনীর কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মৌজাথানা থানাহাট বাজার এলাকার চায়ের দোকানদার মো. চাঁদ মিয়া মেয়ে। চার ভাই বোনের মধ্যে চাঁদনী তৃতীয়। বড়ভাই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করে বাড়িতে রয়েছেন। বড়বোন সুরাইয়া আক্তার চায়নার বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট বোন নুসরাত জাহান সুমি এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: রহিমের মেডিকেলে পড়ার দায়িত্ব নিল রাব্বানীর সংগঠন

বাবার সামান্য চায়ের দোকান থেকে যা আয় হয় তাই দিয়ে কোনোরকমে সংসার চালে তাদের। অভাবী এ সংসারে সংগ্রাম করে পড়াশোনা চালিয়ে যায় চাঁদনী। এরই মধ্যে সফলতাও পেয়েছে

এ মেধাবী ছাত্রী ভর্তির সুযোগ পায় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

স্থানীয় অনেকের আর্থিক সহায়তায় ২০১৬ সালে জেএসসি ও ২০১৮সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে জিপিএ-৫ পায় চাঁদনী। পরে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপবৃত্তি সহায়তা পেয়ে এইচএসসি মানবিক পরীক্ষায় আবারো জিপিএ-৫ অর্জন করে।

এবার ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ‘খ’ ইউনিটে ১৫৮৭তম স্থান অধিকার করে ইংরেজি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয় সে। ছাড়াও চাঁদনী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় খ ইউনিটে মেধাতালিকায় ৫০তম স্থান অধিকার করে। ২৬ ডিসেম্বর ঢাবিতে ভর্তির শেষ দিন। ভর্তির শেষ তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে চাঁদনীর পরিবার।

আরও পড়ুন: সুযোগ পেয়েও অনিশ্চিত মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শিক্ষাজীবনে বাকি পথ কীভাবে পাড়ি দেবে তাও জানা নেই চাঁদনীর। দুই বোনের লেখাপড়ার খরচ জোগান দেওয়া তার পিতার পক্ষে অসম্ভব প্রায়। চাঁদনীর মা নুরিমা বেগম মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করেছেন।

সাহায্য পাঠাতে: সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ৯২০০০০৭২২১০২৫ অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, চিলমারী শাখা, চিলমারী, কুড়িগ্রাম।


সর্বশেষ সংবাদ