রাবি ভর্তি পরীক্ষায় স্কুলের শিক্ষকদের দায়িত্ব প্রদান, অবহেলিত দুই অনুষদের অধ্যাপকেরা
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৪ PM , আপডেট: ৩০ নভেম্বর -০০০১, ১২:০০ AM

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় চারুকলা ও কৃষি অনুষদকে দায়িত্ব না দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। দুই স্কুলের শিক্ষকদের দায়িত্ব দিলেও বাদ দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দুই অনুষদের শিক্ষকদের। প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলছেন তাঁরা। এমনকি ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পাওয়া চারুকলা অনুষদের ডিন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
জানা গেছে, আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) রাবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন ইউনিটে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞান, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের পাশাপাশি বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও স্কুলের শিক্ষকদের। অথচ দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করে আসা চারুকলা ও কৃষি অনুষদের কোনো শিক্ষককে রাখা হয়নি দায়িত্বপ্রাপ্তদের তালিকায়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা। তারা বলছেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছি। আমাদের বাদ দিয়ে স্কুলের শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়া মানে আমাদের অবমূল্যায়ন করা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আলী বলেন, এবারই প্রথম আমাদের অনুষদ থেকে কোনো শিক্ষককে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তবে কেন দেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে আমার জানা নেই। আমাকে হয়তো ডিন হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রথমত, বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দুটি অনুষদ—চারুকলা ও কৃষি অনুষদে পরীক্ষা না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত স্কুলগুলোতে পরীক্ষা নেওয়া একেবারেই অযৌক্তিক। এখানে শতাধিক শিক্ষক রয়েছেন, যারা স্কুলের শিক্ষকদের তুলনায় অনেক বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। অথচ প্রশাসন দুটি অনুষদ থেকেই কাউকে কোনো দায়িত্ব দেয়নি, এমনকি আমাদের অনুষদের ভবনগুলোকেও হল ব্যবস্থাপনার আওতায় নেয়নি। নিরাপত্তার অজুহাত তুললে রংপুরে, খুলনায়, চট্রগ্রামে বিভাগীয় শহরগুলোতে পরীক্ষা নিচ্ছে কীভাবে।
কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আরিফুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন না পড়ায় হয়তো আমাদের অনুষদ থেকে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তবে আমার ধারণা, কয়েকটি বিভাগের সভাপতি ও অনুষদের ডিনদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলের শিক্ষকদের কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কেন দায়িত্ব দেওয়া হয়নি—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে এটি অনুচিত। তবে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।