অভ্যুত্থানের পর গভীর মানসিক চাপে ৭৬ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী

গবেষণার ফল প্রকাশের জন্য ঢাবিতে আয়োজিত সেমিনার
গবেষণার ফল প্রকাশের জন্য ঢাবিতে আয়োজিত সেমিনার  © টিডিসি ফটো

জুলাই বিপ্লবোত্তর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন বাংলাদেশের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা। পুরুষ ও নারী উভয় শিক্ষার্থীর মধ্যে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি), হতাশা ও উদ্বেগের হার বেশি। জুলাই-আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী সময়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। অভ্যুত্থানের পর ৭৬ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী গভীর মানসিক চাপে রয়েছেন বলে এতে জানানো হয়েছে।

‘সেন্টার ফর সাইকোলজিক্যাল হেলথ’র গবেষক সাদিয়া শারমিন ও ‘সেন্টার ফর রিসার্চ ইন মাল্টিডিসিপ্লিন (সিআরএম)’ এর প্রধান গবেষক মাহাদী-উল-মোর্শেদ শনিবার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক এক সেমিনারে মূল গবেষণাপত্রের কাজ ও ফলাফল উপস্থাপনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, পিটিএসডি’র হার নারীদের মধ্যে বেশি। তাদের মধ্যে ৭৬.৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী গভীর মানসিক চাপে ভুগছেন, যা পুরুষদের (৭২.৯০ শতাংশ) তুলনায় বেশি। মাঝারি থেকে গুরুতর পিটিএসডি-এর হারও নারীদের মধ্যে বেশি পাওয়া গেছে। ৫৭.০৫ শতাংশ শিক্ষার্থী গুরুতর পিটিএসডি’র শিকার, অথচ পুরুষদের মধ্যে এই হার ৪৮.৩১ শতাংশ।

আরো পড়ুন: মাথায় লাল কাপড় বেঁধে ঢাকার পথে কুয়েটের শিক্ষার্থীরা

গবেষণায় বলা হয়, হতাশার হারও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ন্যূনতম থেকে মৃদু মাত্রার হতাশা অনুভব করেছেন, তবুও গুরুতর হতাশার শিকার ৩৫.৪ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী এবং ২১.৬১ শতাংশ পুরুষ। অনেক শিক্ষার্থী সামান্য হতাশার শিকার হলেও, উল্লেখযোগ্য অংশ গুরুতর হতাশায় ভুগছেন, যা তাদের পড়াশোনা এবং সামগ্রিক সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

গবেষণায় আরো পাওয়া যায়, পুরুষদের মধ্যে ৮৬.৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থী গভীর উদ্বেগে ভুগছেন, যেখানে নারীদের মধ্যে এই হার আরও বেশি, যা ৯২.৬৮ শতাংশ। গুরুতর উদ্বেগে ৭১.১২ শতাংশ নারী এবং ৬৬.২৮ শতাংশ পুরুষ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাওয়া গেছে। এটি প্রমাণ করে উদ্বেগ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ