সাংবাদিক মারধরের অভিযোগে চবির ১১ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

সাংবাদিক মারধরের অভিযোগে চবির ১১ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
সাংবাদিক মারধরের অভিযোগে চবির ১১ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়াজ মোহাম্মদকে মুখে কাপড় পেঁচিয়ে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের ১১ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী সাংবাদিক বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

জানা যায়, ভুক্তভোগী শাহরিয়াজ মোহাম্মদ দৈনিক পূর্বদেশ ও চট্টগ্রাম খবর পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করায় তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলো ছাত্রলীগের কর্মীরা। গত ১৯ জুলাই রাত পৌনে এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে মারধরের শিকার হন ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক। এসময় হামলাকারীরা পেছন দিকে এসে প্রথমে মুখে ও মাথায় কাপড় পেঁচিয়ে দেয়। পরে তারা ভুক্তভোগী সাংবাদিককে উপর্যুপরি মারধর করে বলে ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এরপর ঘটনাস্থলে থাকা অন্যান্য সাংবাদিকেরা আহত অবস্থায় শাহরিয়াজকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা করান।

মামলার আসামিরা হলেন, আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকিব জাভেদ, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এম. ফয়সাল প্রকাশ ফয়সাল সরকার, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ, ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের  শিক্ষার্থী সৌরভ ভূঁইয়া, আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইয়াছিন আরফাত, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তানভির আলম তুষার, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মামুন মিয়া, ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অনুপ সরকার আকাশ, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহিন রুবেল ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইসহাক আলম ফরহাদ সহ অজ্ঞাতনামা আরও  ১০/১৫ জন। আসামীদের প্রত্যেকেই শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপগ্রুপের নেতাকর্মী ছিলেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক শাহরিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল বন্ধ ঘোষণা করার পরও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলে অবস্থান করছিল। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সে কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর হামলা করে। তারা পেছন দিক থেকে এসে মাথায় ও মুখে কাপড় পেঁচিয়ে আমাকে মারধর করেছে। এ ঘটনায় আমি হাটহাজারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। আমার সাথে ঘটে যাওয়া এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

মামলার বিষয়ে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. নুরুল আলম বলেন, মামলাটি কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলার তদন্ত হবে।


সর্বশেষ সংবাদ