চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন বর্জন বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হবে আগামী মঙ্গলবার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হবে আগামী মঙ্গলবার  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (চবিশিস)  ২০২৪ সালের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের হলুদ দল অংশগ্রহণ করলেও বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাদা দল অংশগ্রহণ করছে না। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা দেড়টায়। নির্বাচনের পর ভোট গণনা শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

নির্বাচনে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির মোট ১১ পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হলুদ দলের দু’পক্ষের ২২ জন প্রার্থী। তাঁরা হলেন, সভাপতি পদে ইন্সটিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়া ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান। 

এছাড়া সহ-সভাপতি পদে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার ইসলাম ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ পদে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঈন উদ্দীন ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক শাহনেওয়াজ মাহমুদ সোহেল, সাধারণ সম্পাদক পদে আইন বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক এবং যুগ্ম-সম্পাদক পদে ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস লাবলু এবং ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।

ছয় সদস্য পদের বিপরীতে লড়ছেন ১২ জন প্রার্থী। তারা হলেন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. অনিমেষ বিশ্বাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের  অধ্যাপক ড. এ এস এম বোরহান উদ্দীন, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এফ এম এনায়েত হোসেন, সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এস, এম. মনিরুল হাসান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এস. এম. সাদাত আল সাজীব, পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. রেজাউর রহমান, সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পারভীন সুলতানা, আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মঞ্জুরুল আলম, আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ নুর হোসাইন, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. রাশেদ-উন-নবী এবং চারুকলা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক সুফিয়া বেগম।

বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কারণ জানতে চাইলে সাদা দলের আহবায়ক ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খান বলেন, আমরা বারবার বলে এসেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। গত ১৫ বছরে দলীয় ও নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ভারসাম্যহীন অবস্থা দাঁড় করানো হয়েছে।

আরো পড়ুন: বিসিএস নেই, গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীও নেই

তিনি বলেন, আপনারাই নিউজ করেছেন, গত চার বছরে সাবেক উপাচার্য শিরীণ আখতার পাঁচ শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন। তার আগের উপাচার্য আরও বেশি নিয়োগ দিয়েছিলেন। এমন ভারসাম্যহীন প্রতিষ্ঠানে আমরা কীভাবে নির্বাচন করবো? আমরা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।

নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. এমদাদুল হক বলেন, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ব্যালট পেপার তৈরি হয়ে গেছে। আমরা চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছি। 

সাদা দল অংশগ্রহণ না করায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে হলুদ দলের দু’পক্ষ অংশগ্রহণ করছে। শিক্ষকদের মাঝে এ দুই পক্ষেরই শক্ত অবস্থান আছে। আর নির্বাচনের পরিবেশ যেহেতু সুষ্ঠু রয়েছে, আশা করছি দু’পক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence