জাবি ভর্তি পরীক্ষায় বাধা দেওয়ার হুঁশিয়ারি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের বিচারসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় বাধা দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের লাউঞ্জে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ করে এই হুমকি দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ষক মোস্তাফিজকে মীর মশাররফ হোসেন হলে ঘেরাও করে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী চলমান আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান।

“আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এর পর পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’ গঠন করেন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে উৎখাত ও মাদক সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়াসহ পাঁচ দফা দাবি জানান।”

তিনি বলেন, ‘যৌন নিপীড়ক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার ও ধর্ষণ কাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তদন্তে প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে। ‘ক্যাম্পাসে মাদক সরবরাহকারী কিছু ব্যক্তিকে আটক করা হলেও মাদক কারবারে যুক্তদের চিহ্নিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি প্রশাসনকে।

‘র‍্যাবের বার্তায় উঠে আসা ক্যাম্পাসে বিদ্যমান মাদক ও অপরাধ চক্রের ভয়াবহ বিস্তারের বিষয়েও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।’

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হলে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিতে হবে বলে হুশিয়ারি দেন মাহফুজ ইসলাম মেঘ। তিনি বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিন্ডিকেট সভা আয়োজন ও চলমান আন্দোলনের দাবিগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসন গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ আরও ব্যাপক ও কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তুলবে। এই উদ্দেশ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসনের যেকোনো প্রকার গড়িমসি যদি আমাদের কঠোরতর আন্দোলনে যেতে বাধ্য করে এবং তার ফলে যদি ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন বাধাপ্রাপ্ত হয় তার পুরো দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব জামানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার এবং পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন।


সর্বশেষ সংবাদ