৫টি গাছ বিয়ের দেনমোহর নিলেন ঢাবি ছাত্রী

রোপণ করা গাছের চারায় পানি দিচ্ছেন নবদম্পতি।
রোপণ করা গাছের চারায় পানি দিচ্ছেন নবদম্পতি।  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা শিক্ষার্থী সুকৃতি এবং একই অনুষদের অংকন ও চিত্রায়ণ বিভাগ থেকে পড়ালেখা সম্পন্ন করা নাবিন বিয়ে করেছেন। এ বিয়েতে ৫টি গাছ দেনমোহর নিলেন ঢাবি ছাত্রী সুকৃতি। বিয়ের আসরেই বরপক্ষ কনেপক্ষকে মোহরাণা গাছ বুঝিয়ে দেন। সেদিনই তা রোপন করেন বর-কনে।

শুক্রবার দুপুরে দুই পরিবারের সম্মতিতে ঘরোয়া পরিবেশে এ বিয়ে হলেও দেনমোহর হিসেবে পরিবেশের বন্ধু গাছ নেয়ার খবর ফেসবুকে জানাজানি হওয়ার পর সবার প্রশংসায় ভাসছেন এ নবদম্পতি।

নগদ অর্থ বা গহনা নয় বিয়েতে দেনমোহর হিসেবে বর নাবিন আদনানের কাছ থেকে পাঁচটি ফলজ ও বনজ গাছ নিয়েছেন নাটোরের মেয়ে সুকৃতি আদিত্য।

দেনমোহর নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা দূর করে ভালবাসা ও বন্ধনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যতিক্রমী ও পরিবেশবান্ধব দৃষ্টান্ত তৈরি করতেই এমন উদ্যোগ সুকৃতি-নাবিন দম্পতির।

কনে সুকৃতি আদিত্য বলেন, “বর্তমানে অনেক বিয়েতে দেনমোহর নিয়ে যে এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতাটা চলছে- আমার মনে হয় তা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। কারণ বিয়েতে আর্থিক লেনদেনটা মুখ্য না। দুটি মানুষের মনের মিল হওয়াটাই বড় ব্যাপার। সেখান থেকে মনে হলো যে যদি এমন কিছু করা যায়, যা আমাদের প্রকৃতিকেও সুস্থ রাখবে। সেই সাথে আমাদের সম্পর্কটাও সুস্থ রাখবে।

“তাই নতুন জীবন শুরু করার পূর্বে আমার মনে হয়েছে, গাছ একটা দারুণ উপকরণ হতে পারে, যেটার মাধ্যমে পরিবেশটাও সুস্থ থাকলো, আমরাও খুশি থাকলাম পরিবেশের সুস্থতা দেখে।”

নাবিন আদনান বলেন, “দেনমোহরের বিষয়বস্তুটা হচ্ছে নিরাপত্তা। আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের নিরাপত্তার চাইতে পরিবেশের নিরাপত্তা বেশি জরুরি। এক ধরণের দৃষ্টান্ত হিসাবেই আমরা চর্চা করলাম যাতে আমরা পরিবেশ, প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে থাকতে পারি। সুকৃতির ভিন্ন চিন্তাকে স্যালুট জানাই।”


সর্বশেষ সংবাদ