চবি ছাত্রীর মৃত্যু
নির্যাতনে আত্মহত্যা করার অভিযোগ ভাইয়ের, ভিন্ন দাবি স্বামীর
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৫৬ AM , আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:১২ AM
পরিবারের অবাধ্য হয়ে বিয়ে করায় এবং স্বামীর কাছে নির্যাতনের শিকার হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রী রোকেয়া সুলতানা রুকু (২২) আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে দাবি তার পরিবারের। তার বড় ভাই আল আমিনের দাবি, রোকেয়া ইয়ার লসের কারণে আত্মহত্যা করেনি। বি পরিবারের অবাধ্য হয়ে বিয়ে করার পর কাউছারের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মুখে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
রোকেয়া চবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তার স্বামীর নাম কাউছার৷ তিনি রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। বোনের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন রোকেয়ার ভাই। তবে এ ধরনের দাবি অস্বীকার করেছেন চবি ছাত্রীর স্বামী কাউছার।
বড় ভাই আল আমিন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘একমাত্র সে ছেলের মানসিক এবং শারীরিক টর্চারের কারণে আমার বোন আত্মহত্যা করছে। থাপ্পড় দেওয়ায় সে আত্মহত্যা করছে রে ভাই, পরিবারের অবাধ্যতায় সে বিয়ে করছে। সে ছেলে আবার তার ওপর হাত তুলছে। আবার ওই ছেলের সন্তান সে কীভাবে প্রসব করবে!’
তিনি বলেন, ‘আমার বোনটাকে মেরেছে। আমার বোন পড়াশোনার কারণে আত্মহত্যা করেনি। সে ২০১৯ সালে ইন্টারেও ইয়ার লস করেছিল। সে ইয়ার লসের কারণে আত্মহত্যা করেনি।’
এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আল আমিন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার নিজের হাতে বোনটাকে শেষ করলাম। তার বিচারের কিছু করতে পারলাম না। অনেকেই ইয়ার লস করে, কিন্তু আত্মহত্যা করেনা। অনেকে নিজের ইচ্ছায় পিছায় যায়। তার স্যাররা তাকে সুযোগ দেওয়ার কমিটমেন্ট করেছিল। কিন্তু আমার বোনটাকে সে মেন্টালি টর্চার করে মেরে ফেলল। আর অভিযোগ করল পরীক্ষার ইস্যু। সে (কাউছার) ডিপার্ট্মেন্টের ঘাড়ে দোষ চাপাইলো।’
আল আমি আরও বলেন, ‘আমি তার স্পেশাল পাওয়ারে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কতকিছু করছি। আমি ভিসি ম্যামের সঙ্গে কথা বলছিলাম, সাইদুর রহমান স্যারের সাথে কথা বলছিলাম। কত পলিটিকাল ভাইয়ের সাথে কথা বলছি।’
এ বিষয়ে স্বামী কাউছার বলেন, `সেদিন সন্ধ্যায় আমি রুকুর পাশে থেকে তাকে বুঝাচ্ছিলাম। সে অসুস্থ ছিল। তাই তাকে ওষুধ খেতে বলছিলাম। সে আমার হাত দিয়ে নিজে নিজের গালে লাগাচ্ছিল। সে আমাকে কিছুই বুঝতে দেয়নি। আমার কলিজা ছিড়ে সে চলে গেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘রোকেয়ার পরিবার হাসপাতালে কোনো অভিযোগ নেই বলেছে। তারা সুষ্ঠু তদন্ত চাইলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।’