ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন
জিপিএ-৫ এর তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা অর্ধেকেরও কম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৫০ PM , আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৫০ PM
২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এর তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন সংখ্যা অনেক কম বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। ইউজিসি তাদের ৪৭তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬১৪ জন। অন্যদিকে দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাতীয়, উন্মুক্ত ও আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতিত) আসন সংখ্যা ৬৪ হাজার ১৮৪টি। সে হিসেবে জিপিএ-৫ এর তুলনায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা অর্ধেকেরও কম।
আরও পড়ুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা ৬ হাজার ৪৫১টি
ইউজিসি বলছে, জাতীয়, উন্মুক্ত আরবিসহ সকল অধিভূক্ত ও অঙ্গীভূত কলেজ/মাদ্রাসায় স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে ১ম বর্ষে ভর্তির আসন সংখ্যা বিবেচনা করলে আলোচ্য বছর এইচএসসি সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) এবং কারিগেরি ও সমমান পর্যায়ে আসন সংখ্যা ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৮১১টি। আর ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লাখ ৭১ হাজার ৩৮২ জন। আসন শূন্য ছিল ২৪ হাজার ৬৯৪টি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স ও কারিগরি আসন সংখ্যা ২ লাখ ২২ হাজার ১১২টি। এখানে কোনো আসন শূন্য নেই।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের পেছনে সবচেয়ে কম ব্যয় করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান), কারিগরি/সমমান পর্যায়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৮ জন। মাস্টার্স ও কারিগারি পর্যায়ে শিক্ষার্থী ছিল ২ হাজার ২৭৯ জন।.
প্রসঙ্গত, ইউজিসির ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাতীয়, উন্মুক্ত ও আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতিত) মোটন আসন ছিল ৪৭ হাজার ১৭১টি। এর বিপরীতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়েছিল ৫১ হাজার ৬৭৭ জন। আসন সংখ্যার তুলনায় ৪ হাজার ৫০৬ জন শিক্ষার্থী বেশি ভর্তি করানো হয়েছিল।