গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব: ইউজিসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ০২:১২ PM , আপডেট: ০৬ জুন ২০২৪, ০৩:০১ PM
দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের সূতিকাগার হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে না জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। প্রায়োগিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করে শিল্প ও বাণিজ্য সমস্যার সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভূমিকা রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ বৃহস্পতিবার এ পরামর্শ দেন। ইউজিসির ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে কমিশনের অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কমিশনের রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশনস বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, উন্নত বিশ্বকে কপি করে নয়, নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধারণ করে স্মার্ট বাংলদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে যৌথ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হতে হবে। গবেষণা ও উদ্ভাবনের মধ্যমে শিল্প সমস্যার সমাধান করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে হবে। অন্যথায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা যাবে না বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান তার বক্তব্যে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন। আর স্মার্ট সিটিজেন তৈরির কারিগর হচ্ছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ। তিনি স্মার্ট সিটিজেন তৈরিতে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানসম্মত শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের পরিবেশ নিশ্চিত করার আহবান জানান।
কর্মশালায় রিসোর্সপার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব ও ইনোভেশন ফোকাল পয়েন্ট মো: নূর-ই-আলম, এটুআই’র চীফ ই-গভার্নেন্স স্পেশালিস্ট ড. ফরহাদ জাহিদ শেখ এবং এটুআই’র শিক্ষা বিশেষজ্ঞ (ফিউচার অব এডুকেশন) মির্জা মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
ইউজিসি সিস্টেম এনালিস্ট ও ইনোভেশন ফোকাল পয়েন্ট দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় কর্মশালায় ইউজিসি’র বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসি’র মোট ৫৪ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।