সাইকেলে ৬৪ জেলা ভ্রমণ টুঙ্গিপাড়ার ছেলে তাম্মাতের

তাম্মাত বিল খয়ের
তাম্মাত বিল খয়ের  © সংগৃহীত

ছোটবেলা থেকেই সাইকেল চালানোর শখ তাম্মাতের। এরই সঙ্গে যোগ হয় ভ্রমণের নেশা। স্বপ্ন দেখতেন একদিন সাইকেল নিয়ে দ্রুততম সময়ে দেশের ৬৪ জেলা ঘুরবেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাঁর। ২০১৭ সালে  ২৫ দিনে ৬৪ জেলা ঘুরেন তিনি। ২০১৯ সালে মাত্র ১৪ দিন ২০ ঘন্টায় বাংলাদেশের দ্রুততম সময়ে বাইসাইকেলে ৬৪ জেলা পাড়ি দেন তিনি। এবার জেলাগুলোকে আরও ভালোভাবে ঘুরে দেখার জন্য আবারো বের হয়েছিলেন বাইসাইকেল নিয়ে।

তাম্মাত বিল খয়েরের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। জন্ম চট্টগ্রামে। বাবা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেয়ামত আলী সিকদার ও মা গৃহিণী নুর জাহান বেগম। ছয় ভাই ও এক বোনের মধ্যে তাম্মাত সবার ছোট। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সাইক্লিং দলের চুক্তিভিত্তিক একজন খেলোয়াড়। তাম্মাত বিল খয়ের চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের গণিত বিষয়ে স্নাতক পড়েছেন।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থেকে সকাল সাতটায় সাইকেলটি নিয়ে ঘর থেকে বের হন তাম্মাত বিল খয়ের। প্রথম জেলা ছিল মানিকগঞ্জ। এরপর টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর জেলা অতিক্রম করেন। পরে উওরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ ঘুরে চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগ শেষ করে ময়মনসিংহ জেলা হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে এসে ভ্রমণ শেষ করেন। প্রতিটি জেলায় গিয়ে সেখানকার বিভিন্ন স্থfপনার সামনে ছবি তোলেন তিনি।

তাম্মাত বিল খয়ের একজন আল্ট্রা এন্ডুরেন্স অ্যাথলেট। ২০১৭ তে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ঘুরেছেন বাইসাইকেলে। ২০১৮ তে পায়ে হেঁটে পাড়ি দেন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। নিজের ঝুলিতে জমা করেছেন ম্যারাথন, ডুয়াথলন, সাইক্লিং, ক্লাইম্বিং সহ অনেকগুলো অর্জন।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে আমি প্রথম ৬৪ জেলা ভ্রমণ করি। তবে এবারের সফরটা খুব কঠিন ছিল। কঠিন ছিল এই কারণেই যে, লম্বা সফরে এককে দিন আপনার সাথে একেক ধরনের ঘটনা ঘটার ফলে মাইন্ডসেট এক থাকে না। বেশ চ্যালেঞ্জ ছিল নিজেকে ধরে রাখা। আমি যে উদ্দেশ্যে বের হয়েছি সেই উদ্দেশ্যে শেষ করেই বাড়ি ফিরবো। এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছেন অনলাইনের মানুষ। সব জেলাতে গিয়েছি এবং মানুষের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি।

এর আগে ২০১৯ সালে মাত্র ২৫ দিনে বাংলাদেশের দ্রুততম সময়ে বাইসাইকেলে ৬৪ জেলা পাড়ি দেন তাম্মাত বিল খয়ের। তাঁর পরবর্তী ভ্রমণ নিয়ে জানান, ভারতের জাতীয় সড়ক কাশ্মীর থেকে কণ্যাকুমারী ৪০০০ কিলোমিটার ৫০ দিনে সাইক্লিং করবেন।


সর্বশেষ সংবাদ