ওজন কমাতে ও ত্বক ভাল রাখতে মিষ্টি কুমড়ার গুণাগুণ

মিষ্টি কুমড়া
মিষ্টি কুমড়া  © সংগৃহীত

সবজি হিসেবে মিষ্টি কুমড়া সুপরিচিত। এটি বার মাসই পাওয়া যায়। কাঁচা ও পাকা মিষ্টি কুমড়ার দু’রকম স্বাদ। কাঁচা অবস্থায় ‍উপরের রঙ সবুজ এবং পাকলে ভেতরের অংশ ডিপ হলুদ রঙের হয়। হাল্কা মিষ্টি স্বাদের এই সবজি নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। ত্বক-চুলের উন্নতি থেকে হজমশক্তি বাড়ানো, একাধিক উপকারিতা রয়েছে কুমড়ার।

গুণের বাহারে মিষ্টি কুমড়া অন্য যেকোনো সবজির থেকে আলাদা। 

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: কুমড়া ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি-তে ভরপুর। পাশাপাশি কুমড়াতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ফাইবারও। এই ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তাছাড়া কুমড়াতে থাকে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট।

২. হজমশক্তি বাড়াতে: কুমড়াতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজম ভাল করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে অত্যন্ত উপযোগী।

৩. ত্বক উজ্জল করে: ত্বক উজ্জল করতেও মিষ্টি কুমড়া সাহায্য করে। মিষ্টি কুমড়ার ভিটামিন-এ ও সি চুল ও ত্বক ভালো রাখে। তাই উজ্জ্বল চুল ও চকচকে ত্বকের জন্য নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন। বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও মিষ্টি কুমড়া সাহায্য করে। এছাড়া এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক যা ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে ও অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৪. ওজন কমাতে: কুমড়া যেহেতু ফাইবার-সমৃদ্ধ তাই এই সবজি দীর্ঘ সময় পেটে থাকে। ফলে যারা ওজন কমাতে কম খাওয়া-দাওয়ার দিকে ঝুঁকছেন তাদের জন্য কুমড়া বেশ উপযোগী হতে পারে।

আরও পড়ুন: ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া এড়াতে যে কাজগুলো করবেন

৫. চোখ ভাল রাখতে: চোখ অমূল্য সম্পদ। কুমড়াতে যে বিটা-ক্যারোটিন পাওয়া যায়, তা চোখের জন্য খুবই উপযোগী। বিশেষ করে বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিশক্তির সমস্যা কমাতে কুমড়া দারুণ উপকারী বন্ধু হতে পারে। আমাদের রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিটা-ক্যারোটিন ও আলফা-ক্যারোটিনের মত ক্যারটিনয়েড সমূহ চোখের ছানি পড়া রোধসহ চোখের রেটিনা কোষ রক্ষা করে। তাই চোখকে সচল ও সুস্থ রাখতে আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন মিষ্টি কুমড়া রাখুন।

৬. গর্ভবতীর রক্তস্বল্পতা রোধ করে: মিষ্টি কুমড়া ও কুমড়ার বীজ গর্ভবতী মায়েদের রক্তস্বল্পতা রোধ করে অকাল প্রসবের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়, তাই গর্ভবতী মায়েরা তাদের অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্য নির্দ্বিধায় খেতে পারেন মিষ্টি কুমড়া।

৭. সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করে: মিষ্টি কুমড়ায় ভিটামিন সি রয়েছে ৯ মিলিগ্রাম। এই ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই শীত মওসুমে বেশি বেশি মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা

এছাড়া মিষ্টি কুমড়ার বিভিন্ন উপাদান দেহের কিডনি, লিভার, হার্টকে সুস্থ রাখে, বাতের ব্যথাসহ দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার প্রশমন ঘটায়। মিষ্টি কুমড়ার ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রেখে স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে। তবে মনে রাখবেন, সকলের শরীর সমান নয়। কাজেই সব খাবার সবার সহ্য হবে এমন নয়। কোনও সবজি খেয়ে যদি শরীরে কোনও ধরনের সমস্যা হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence