মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতে যেসব খাবার খাবেন
- আফরিন সুলতানা শোভা
- প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২২, ০৩:৪৮ PM , আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২২, ০৫:৪২ PM
মাথাব্যথার খুব প্রচলিত একটি কারণ মাইগ্রেন। এ ক্ষেত্রে মাথার দুই পাশে তীব্র ব্যথা হয়। সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে এই ব্যথা বেশি হতে দেখা যায়। এই ব্যথা থেকে প্রাকৃতিকভাবেও মুক্তি মিলতে পারে। কিছু খাবার আছে যা খেলে এই ব্যথায় আপনাকে স্বস্তি এনে দেবে।
এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা কমতে পারে। মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতে যেসব খাবার খাবেন।
সবুজ শাকসবজিঃ পালং শাক, শাকসবজি: মতো সবজিতে ম্যাগনেসিয়াম ~ ও ভিটামিন বি-তে ভরপুর। দুটি উপাদানই মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করতে সহায়ক
বাঁধাকপি: বাঁধাকপির ম্যাগনেশিয়াম, ওমেগা ৩ ও ফাইবার, বাঁধাকপির স্যুপ ও স্মুথি বা সালাদ। এসব খাবার, মাইগ্রেনের ব্যথা কমায়। এছাড়া রয়েছে গাজর ও মিষ্টি আলু। গাজর ও মিষ্টি আলুতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। আরও রয়েছে ভিটামিন সি, বি২, বি৬, নিয়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাস আছে, যা ব্যথা দূর করে।
মাশরুম: মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আরেকটি বিশেষ খাবার হচ্ছে মাশরুম। মাশরুমে ম্যাগনেশিয়াম ও রিবোফ্লোবিন থাকায় মাইগ্রেনের স্থিতি ও পুনরাবৃত্তি রোধ করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রিবোফ্লাবিন বা বি২, যা অন্ত্রের রোগের পাশাপাশি মাথাব্যথা দূর করতে সহায়ক।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনীয় একাডেমিক ডকুমেন্টস কোথায় কিভাবে সত্যায়ন করবেন
কলাঃ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, যা মাইগ্রেনের ব্যথার বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
পানিঃ এটি শরীরকে আর্দ্র রেখে ব্যথার তীব্রতা কমায় এবং মাইগ্রেনের কারণে সৃষ্ট মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
চেরি: মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে চেরি ফলের জুসও ভালো বেশ উপকারী। চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনলস নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। চেরি স্ট্রেস দূর করে, মাথাব্যথা কমায়।
অরগান মিট: ভ্রমণে গেলে অনেকের মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। তারা খেতে পারেন অরগান মিট। ভ্রমণের সময় এই অরগান মিট রাখতে পারেন বা যাত্রার আগে খেতে পারেন।
চিংড়ি ও আদা চা: চিংড়ির অ্যাসটাজ্যানথিন মাইগ্রেনের অ্যাটাক কমায়। এছাড়া মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে আদা চা বেশ কাজে দেবে।
সব মাথাব্যথাই মাইগ্রেন নয়, দৃষ্টিস্বল্পতা, মস্তিষ্কের টিউমার, মাথায় রক্তক্ষরণ প্রভৃতি কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চক্ষুবিশেষজ্ঞের পাশাপাশি স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।