একক বা গুচ্ছ না থাকলে যে পরিস্থিতিতে পড়বেন ভর্তিচ্ছুরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা  © ফাইল ছবি

এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করতে ২০২০-২১ সেশন থেকে শুরু হয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। প্রথমবার ২০টি এবং পরের বছর থেকে ২২টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমেছিল অনেক। খরচও কমেছে। পাশাপাশি ভর্তির সুযোগও বেড়েছিল। কৃষি ও প্রকৌশল গুচ্ছ থেকেও একই সুবিধা পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

তবে এ উদ্যোগে সমন্বয়হীনতাসহ নানা কারণে সুবিধার পাশাপাশি দুর্ভোগও পোহাতে হয়েছে অনেক। এরইমধ্যে চলতি বছর একক ভর্তি কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এসে তাও ভেস্তে গেছে। ফলে গুচ্ছ প্রক্রিয়াও ভেঙে যাওয়ার মুখে রয়েছে। ইতোমধ্যে গুচ্ছভুক্ত দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি না থাকার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদিও কৃষি ও প্রকৌশল গুচ্ছের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি।

এবার যদি এককের পর গুচ্ছ প্রক্রিয়াও ভেস্তে যায় বা সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় না থাকে, তবে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি, খরচসহ অনেক নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। প্রথমত, যে যে বিশ্ববিদ্যালয় আলাদাভাবে পরীক্ষা নেবে, সেখানে আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে প্রতিটি ইউনিটে। এতে খরচ বাড়বে ভর্তিচ্ছুদের। যাতায়াত ভাড়াসহ অন্যান্য ব্যয় তো আছেই।

দ্বিতীয়ত, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ধরনও একটির তুলনায় অন্যটি আলাদা ধরনের হবে। যদিও অতীতে প্রশ্নপত্র প্রায় একই ধরনের দেখা গেছে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের। তবে নিয়মে কিছুটা এদিক-সেদিক থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ভর্তিচ্ছুদের এদিকেও আলাদা মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন হবে।

তৃতীয়ত, ভর্তির প্রস্তুতির ক্ষেত্রও বিস্তৃত হবে। বিশেষ করে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা নেবে, তাদের বিষয়েও আলাদা মনোযোগ রাখতে হবে ভর্তিচ্ছুদের। কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় কবে কীভাবে ভর্তি পরীক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রম চলবে তাও নজরে রাখতে হবে ভর্তিচ্ছুদের। সেক্ষেত্রে তাদের এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিদ্ধান্তের ওপর নজ রাখতে হবে।

আরো পড়ুন: ভেঙে যেতে পারে গুচ্ছ, ইঙ্গিত দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির

চতুর্থত, অনেকগুলো পরীক্ষা হলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকা, খাওয়াসহ আনুষঙ্গিক অনেক বিষয়েও ভোগান্তির শিকার হতে হবে তাদের। এটিও দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে অনেকের জন্য।

সবমিলিয়ে এবার একক কিংবা গুচ্ছ পরীক্ষা না হলে কিংবা গুচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা কমলে ভর্তিচ্ছুদের ব্যস্ততা, পড়াশোনা, খরচ ও ভোগান্তি বাড়বে। এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই ভর্তির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। চোখ-কান খোলা রেখে সব দিকে নজর রাখলে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া সম্ভব। চলতি সপ্তাহেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত হয়তো জানা যাবে।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী


সর্বশেষ সংবাদ