মাইগ্রেন ব্যথা থেকে রেহাই পেতে এড়িয়ে চলুন কিছু অভ্যাস

মাইগ্রেন বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা
মাইগ্রেন বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা  © সংগৃহীত

মাইগ্রেন বিশেষ ধরনের মাথাব্যথা। এটি দীর্ঘস্থায়ী ও অত্যন্ত কষ্টদায়ক হয়ে থাকে। অনেকের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কম থেকে বেশি সব রকমই হতে পারে। উজ্জ্বল আলো, নির্দিষ্ট গন্ধ বা তীব্র আওয়াজের ফলে ব্যথা শুরু হতে পারে। এই অস্বস্তি মাথার এক ধার থেকে শুরু হতে পারে এবং দুই থেকে তিনদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের এই ব্যথা অন্যদের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। 

মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়া অসহ্য যন্ত্রণা, সঙ্গে হালকা জ্বর, এই উপসর্গগুলি মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে নতুন নয়। এই উপসর্গগুলো মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে বেশ পরিচিত। একটানা বেশ ক’দিন থাকার কারণে এই যন্ত্রণা শরীর কাবু করে দেয়। আমাদের অজান্তেই কিছু অভ্যাস এই ব্যথা বাড়িয়ে তোলে। জেনে নিন মাইগ্রেন থাকলে কোন কাজ ভুলেও নয়।

চিনি বেশি খাওয়া: অতিরিক্ত চিনি দেওয়া আছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। খাদ্য তালিকায় যত কম চিনি জাতীয় খাবার রাখবেন, ততই ভালো। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

পানি কম খাওয়া: শরীরে পানির ঘাটতি হলেই মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বাড়ে। আপনি সারাদিনে পরিমাণমতো পানি পান করেন তো? দিনে অন্তত আড়াই লিটার পানি না খেলে ডিহাইড্রেশন থেকেও মাইগ্রেন হতে পারে। রাত জাগার অভ্যাস বাড়িয়ে তোলে মাইগ্রেনের ব্যথা।

ঘুমের অনিয়ম: প্রতিদিন চেষ্টা করুন ঘুমের জন্য অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা বরাদ্দ রাখতে। একান্ত না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা কিন্তু ঘুমাতেই হবে। এক দিন কম ঘুমালেন, কোনো এক দিন বেশি ঘুমালেন, এমন না করে ঘুমের মাত্রা সমান রাখার চেষ্টা করুন।

চড়া আলোয় থাকা: জোরালো আলোয় অনেকেরই মাথা দপদপ করে। এমনটা যদি আপনার হয়, তা হলে কিছুক্ষণ আলো নিভিয়ে বা অন্ধকার কোনো জায়গায় গিয়ে চোখ বুজে বসে থাকুন।

যেসব অভ্যাস বাড়িয়ে দেয় মাইগ্রেনের ব্যথা

কফির অভ্যাস: কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে হঠাৎ তা বন্ধ করবেন না। রোগীদের ক্ষেত্রে ক্যাফেইনের উপস্থিতি হঠাৎ বন্ধ করে দিলে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ে। তাই কফি ছাড়তে হলে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। প্রয়োজনে ডায়াটিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলুন।

আরও পড়ুন: মাইগ্রেনে থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়, স্বস্তি এনে দেবে যেসব খাবার

মৌসুম বদল: চড়া রোদ বা কনকনে ঠান্ডা– দুটোই মাইগ্রেনের জন্য খারাপ। তাই এমন হাওয়ায় একটু সাবধানে থাকতে হবে। এই সময়ে ব্যায়াম করুন। যার প্রভাবে মাইগ্রেন দূরে থাকতে পারে। শীতের দিনে গরম পোশাক আর গরমে ছাতা ও রোদচশমার ব্যবহার করতেই হবে।

খালি পেটে থাকা: অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে বদহজমের সমস্যা শুরু হয়। গ্যাসের সমস্যা মাইগ্রেনের ব্যথা আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই কাজের খাবারে বসে জীবাণু ছড়াতে পারে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence