যেসব কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ইউটিউবের মনিটাইজেশন
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৫ AM , আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৯ AM

বর্তমানে ইউটিউব কেবল বিনোদন বা শেখার মাধ্যমই নয়, অনেক তরুণের জন্য আয়ের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু নিয়ম না মানলে এই আয়ের পথ হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ইউটিউবের কঠোর নীতিমালার কারণে অনেক চ্যানেলই হারাচ্ছে মনিটাইজেশন সুবিধা।
কী কী কারণে এই ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন—আসুন জেনে নেই।
১. নীতিমালা ভঙ্গ করলে:
ইউটিউবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে তার কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চলা। স্প্যাম, যৌন উদ্দীপক কনটেন্ট, শিশুদের ঝুঁকিতে ফেলে এমন ভিডিও, হেট স্পিচ, সাইবার বুলিং কিংবা হয়রানিমূলক কিছু থাকলেই মনিটাইজেশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
২. অশালীন ভাষা ব্যবহারে সাবধান
ভিডিওতে অশ্লীল বা অশালীন শব্দের ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রেই মনিটাইজেশন বন্ধের কারণ হতে পারে। তাই ভাষা নির্বাচনেও থাকতে হবে সচেতন।
৩. সহিংসতা নয়, সংবেদনশীলতা হোক অস্ত্র
রক্তপাত, শারীরিক আঘাত কিংবা নির্যাতনমূলক ভিডিও দেখানো হলে ইউটিউব সেই কনটেন্ট মনিটাইজ করার অনুমতি দেয় না। সহিংস কনটেন্টের আশ্রয় না নিয়ে অন্যভাবে প্রকাশ করাই উত্তম।
৪. মাদক ও তামাকবিষয়ক কনটেন্ট
মাদক বা তামাকজাত পণ্যের প্রচার বা দেখানো কনটেন্ট সরাসরি ইউটিউবের নীতিমালা ভঙ্গ করে। এমনকি অবহেলাতেও যদি এসব বিষয় ঢুকে পড়ে, তাও হতে পারে বড় ঝুঁকি।
৫. আগ্নেয়াস্ত্র–সম্পর্কিত ভিডিও
যেকোনো ধরনের অস্ত্র প্রদর্শন, তার ব্যবহার শেখানো কিংবা প্রশংসা করা ভিডিওর মাধ্যমে ইউটিউব মনিটাইজেশন বন্ধ করে দিতে পারে।
৬. কপিরাইট লঙ্ঘন
অন্যের ভিডিও, অডিও বা মিউজিক ব্যবহার করলে চ্যানেল সরাসরি কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে পড়ে। তাই সবসময় নিজের তৈরি বা কপিরাইটমুক্ত মেটেরিয়াল ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৭. ভিউ বাড়াতে কৃত্রিম উপায়
একই ডিভাইস বা পরিচিত মানুষ দিয়ে বারবার নিজের ভিডিও দেখা, এমনকি ভিউ বাড়াতে কোনো সিস্টেম ব্যবহার করাও মনিটাইজেশন বন্ধের অন্যতম বড় কারণ।
ইউটিউবে আয় করার স্বপ্ন অনেকের। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ করতে হলে নিয়ম মেনে পথ চলতেই হবে। তাই যেকোনো কনটেন্ট দেওয়ার আগে নিজেই ভাবুন—এটি কি ইউটিউবের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না। মনে রাখবেন, গন্তব্যে পৌঁছানোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে পথচলার ধরন।