মারামারি করে বহিষ্কার হলেন মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের ৯ নেতা

মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগ
মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগ  © লোগো ও ছবি

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মাভাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের ৯ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, সেটি লিখিত জানাতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে মাভাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের এসব নেতাদের সাময়িক বহিষ্কার হয়েছে।

এছাড়া একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জোবায়ের দৌলা রিওন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এমরান হোসেন মামুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাওন ঘোষ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ. এইচ. এম. অপু হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান রকি, সাংগঠনিক সম্পাদক রাফিউল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিক ইকবাল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ রাব্বুকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: তিনতলা থেকে পড়ে হাত-পা ও কোমর ভেঙে পঙ্গুতে সোহান

এর আগে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীরের গ্রুপের মধ্যে রাতভর পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জনেরও বেশি নেতাকর্মী আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন।

এরপর ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে তদন্ত রিপোর্ট প্রেরণের জন্য ১৪ দিনের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়।

এছাড়া হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের দুপক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মানিক শীলসহ ১২ জনকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন সম্পাদকের অনুসারী জয় কুমার ধর। অন্যদিকে, ১৮ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন সভাপতির অনুসারী রুবেল হাসান।


সর্বশেষ সংবাদ