শহীদদের তালিকা করতে না পারায় গণহত্যার স্বীকৃতি মিলছে না: রাশেদ

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান  © টিডিসি ফটো

স্বাধীনতার ৫২ বছরেও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সঠিক তালিকা করতে না পারায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচনা করেছেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান। রবিবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

রাশেদ খান বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫২ বছরেও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সঠিক তালিকা করতে না পারা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। আওয়ামীলীগ নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের শক্তি হিসেবে দাবি করলেও ৩০ লাখ শহীদের ত্যাগের প্রতি তাদের কোন সম্মান নেই। যদি থাকতো তবে শহীদের তালিকা তৈরি করতো।’

তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) সবসময় একক নেতৃত্বের কথা বলে, অন্যদের ত্যাগ স্বীকার করে না। এখনো পর্যন্ত ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে পারেনি। এর অন্যতম কারণ হলো শহীদের তালিকা তৈরি করতে না পারা।

নিজের দলের অবস্থান উল্লেখ করে রাশেদ বলেন, গণঅধিকার পরিষদ মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার বাস্তবায়ন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তরুণদের রক্ত ও সংগ্রামের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হলেও, জাতীয় সংসদে তরুণ নেতৃত্বের অংশগ্রহণের সুযোগ কম।

‘‘তরুণদের সামনে এগিয়ে দিতে হবে, দেশকে দুর্নীতি, ঘুষ, গুম, খুন মুক্ত করতে হবে। প্রশাসনকে আজকে দলীয়করণ করা হয়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোটচুরির সংবাদ আজকে বিশ্ব গণমাধ্যমে পর্যন্ত আসে। যা আমাদের মাথা নত করে দেয়।’’

আরও পড়ুন: গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, ‘‘আমরা ১৯৭১ সালে খাতা-কলমে স্বাধীনতা পেলেও প্রকৃত স্বাধীনতা এখনো পাইনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিলো সাম্য মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার। যার ছিটেফোঁটাও আজকের এই বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে পারেনি ক্ষমতাসীন দলগুলো।

ফারুক বলেন, আমরা গণঅধিকার পরিষদ ক্ষমতায় গেলে সবার আগে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ করবো। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠাকেই গণঅধিকার পরিষদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে দেশের মানুষকে গণঅধিকার পরিষদের পাশে থাকার আহ্বান জানাই। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক পাঠান আজহার, যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফুল্লাহ হায়দার, জিলু খান, সদস্য তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা জেলার আহ্বায়ক এডভোকেট শওকত হোসেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান ও বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে অঙ্গ ও সসহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ