সাড়া দিচ্ছেন না পেলে, রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থায়
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:০১ PM , আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:০১ PM
শারীরিক অবস্থা আরও সঙ্কটজনক হয়েছে ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের। ব্রাজিলের সংবাদপত্র ‘ফোলহা ডে সাও পাওলো’ জানিয়েছে, কেমোথেরাপি কাজ করছে না পেলের শরীরে। কোনো চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না তিনবার বিশ্বকাপ জেতা এই ফুটবলার। তাকে রাখা হয়েছে ‘প্যালিয়াটিভ কেয়ার’-এ।
এর আগে গত মঙ্গলবার হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ও শরীর ফুলে যাওয়ায় সাও পাওলোর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল পেলেকে। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী মার্সিয়া আওকি এবং এক জন আয়া। তারপর থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এর আগে বিভিন্ন কারণে পেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও শরীর ফুলে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম হয়েছে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনা না পারলেও ব্রাজিল যেন বিশ্বকাপ জিতে: লিওনেল স্কালোনি
গত বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছিল, পেলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তার মেয়ে জানিয়েছিলেন, ভয়ের কোনো কারণ নেই। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন পেলে। কিন্তু এর মধ্যেই নতুন করে তার অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর পাওয়া গেল।
দীর্ঘ দিন ধরে মলাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত পেলে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার। কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি। কেমোথেরাপি চলছিল পেলের। সেটাই আর নিতে পারছেন না তিনি।
বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে ২০১০ সালে কাতারের নাম ঘোষণার পরেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন পেলে। ইচ্ছে ছিল ১৮ ডিসেম্বর দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে বসে ব্রাজিলের ষষ্ঠ বার বিশ্বকাপ জয় দেখবেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে কাতার যাওয়ার অনুমতি দেননি। তিনি ব্রাজিলে নিজের বাড়িতেই ছিলেন। সেখানেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
প্যালিয়াটিভ কেয়ার কী
ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যখন রোগীর শরীরে কোনও চিকিৎসা কাজ করে না, তখনই তাকে প্যালিয়াটিভ কেয়ারে রাখা হয়। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে উপসর্গ উপশম করা হয়। অর্থাৎ, রোগীর শরীরে যে যে সমস্যা দেখা যাচ্ছে তা থেকে তিনি যাতে কষ্ট না পান সেই বন্দোবস্ত করেন চিকিৎসকেরা। যত দিন সেই রোগী বেঁচে থাকবেন তত দিন যেন তিনি আরামে থাকতে পারেন তার জন্যই রয়েছে প্যালিয়াটিভ কেয়ার।
তবে প্যালিয়াটিভ কেয়ারে কোনও রোগীকে রাখার মানে যে তিনি কিছু দিনের মধ্যেই প্রয়াত হবেন, তাও নয়। তিনি আরও বললেন, ওই অবস্থায় রোগী এক বছরও বাঁচতে পারেন। সেটা নির্ভর করছে রোগীর শরীর কতটা সহ্য করতে পারছে তার উপর।