অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেসির ‘হাজার’ রেকর্ডের ম্যাচ

বয়সটা ৩৫। পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু প্রায় দুই দশক আগে। এর মধ্যে বার্সোলনায় কাটিয়েছেন ক্যারিয়ারের সোনালী দিনগুলো। অর্জনের বেশিরভাগই বার্সাকে কেন্দ্র করে। জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেললেও শিরোপা ছোয়া হয়নি।

অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপে টিকে থাকে জয়ের বিকল্প নেই মেসিদের। আজ দর্শকরা মেসির জয় দেখতে যেমন চাইবে তেমনি উপভোগ করবে তার হাজার ম্যাচ খেলার মাইলফলক গড়ার মুহুর্তটিও।

বিশ্বকাপ ছাড়া সব কিছুই জিতেছেন মেসি। ফুটবলের সঙ্গে গেঁথে গেছে তার নাম। মেসির বাঁ পায়ের জাদুতে মুগ্ধ ভক্ত-সমর্থকরা। এখন লিওনেল মেসি মাঠে নামা মানেই নতুন কোনো রেকর্ড। একাধারে কখনও সেরাদের রেকর্ড ভাংছেন, আবার কখনও নিজের গড়া রেকর্ড ভেঙ্গে গড়ছেন নতুন মাইলফলক।

আরও পড়ুন : অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডি মারিয়ার খেলা অনিশ্চিত

সাতবারের ব্যালন ডিঅর জয়ী আর্জেন্টাইন যাদুকর পেশাদার ফুটবলে গোল সংখ্যায় ছাড়িয়ে গেছেন পেলে সহ আরও অনেক সুপারস্টারকে। তার সামনে এখন শুধুই সিআর সেভেন।

ইতোমধ্যে আর্জেন্টিনা ও বার্সোলোনার হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়েছেন মেসি। একই সঙ্গে গড়েছেন সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ডও।

আর্জেন্টিনার জার্সিতে ইতোমধ্যে ১৬৮টি ম্যাচ খেলেছেন। আজ বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নামবেন ১৬৯ তম ম্যাচে। মেসি সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন বার্সেলোনার হয়ে (৭৭৮)। বর্তমান ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে খেলেছেন ৫৩টি।

পেশদার ফুটবলে অষ্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে মেসির ম্যাচ সংখ্যা ৯৯৯টি। আজ মাঠে নামার মাধ্যমে হাজারতম ম্যাচ খেলার অনন্য মাইলফলক গড়া হবে এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের।

আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায় শেষ ষোলোতে আর্জেন্টাইনদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে মেসিদের। যদি আর্জেন্টিনা আজ হেরে যায়, তবে ৩৫ বছর বয়সী ফুটবল কিংবদন্তির বিশ্বকাপে এটিই হতে পারে শেষ ম্যাচ।

অবশ্য আজকের ম্যাচে ফেবারিট হিসাবেই মাঠে নামবে লিওনেল স্কলোনির শীর্ষরা। হয়তো বড় জয়েই নিশ্চিত করবে কোয়ার্টার ফাইনাল। অবশ্য ভক্তরা চাইবে ধারবাহিকভাবে আর্জেন্টিনার জয়ের মধ্য দিয়ে মেসির হাতে উঠুক বিশ্বকাপ।


সর্বশেষ সংবাদ