আদালতের রায়ের পরও মাদরাসার জমি দখলের চেষ্টা

আদালতের রায়ের পরও মাদরাসার জমি দখলের চেষ্টা
আদালতের রায়ের পরও মাদরাসার জমি দখলের চেষ্টা  © সংগৃহীত

আদালতের রায়ের পরেও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কুচলিবাড়ী ইউনিয়নের পানবাড়ী রহিমুদ্দিন গাজীউল্যাহ ফোরকানিয়া মাদরাসার জমি জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই এলাকার সহির উদ্দিনে ছেলে সহিদার রহমান ওই মাদরাসার জমি উত্তরাধীকারী সূত্রে মালিক দাবি করে আসছেন।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আজিজুর রহমান ওরফে দরবেশ ২০০৬ সালে সহিদার রহমানের ছোট ভাই আব্দুল জব্বাররে নিকট ৬.২৫ শতক জমি ক্রয় পূর্বক দলিল করে নেন। জমি বুঝে নিয়ে মাদরাসার কেনা জমিতে আজিজুর রহমান গাছ-পালা ও বাঁশ লাগান। দীর্ঘ ৪ বছর পর সহিদার রহমান ছোট ভাইয়ের পৈতৃক প্রাপ্ত অংশের বিক্রিত জমির মালিক দাবি করে বসেন। একপর্যায়ে জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা করেন উভয়পক্ষ। আদালত দলিল-দস্তাবেজ পর্যালোচনা করে সহিদার রহমানের করা ৩টি মামলা খারিজ করে দিয়ে মাদরাসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রায় দেন।

একই এলাকার বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, সহিদার রহমান চলমান মাদরাসাটি বন্ধে ও জমির দখল নিতে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছেন। বিভিন্ন জনের নিকট শুনেছি সহিদার রহমান মাদরাসার সন্নিকট টিনের চালায় নাকি আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। সহিদার রহমান বলেন, উক্ত জমির ওপর আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি টিনের চালায়ও আগুন দেইনি। বরং তারাই আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। মামলা দিয়ে ক্ষতি করছে।

পানবাড়ী ফোরকানিয়া মাদরাসা ও দায়রা শরীফের প্রতিষ্ঠাতা আজিজুর রহমান ওরফে দরবেশ বলেন, আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে ভয়-ভীতি দেখায় সহিদার রহমান। চলতি বছরের ০৯ মে বিকেলে মাদরাসা সংলগ্ন টিনের চালা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন তিনি। এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। আমি ধর্মীয় শিক্ষার জন্য মাদরাসাটি স্থাপন ও পরিচালনা করি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জেনে জানাব।


সর্বশেষ সংবাদ