দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২০৩১৬টি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:২৭ PM , আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৪৩ PM
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন বর্তমানে সারাদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীনে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মোট ২০ হাজার ৩১৬টি। তিনি আরও জানান, দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ ও একটি করে বিদ্যালয় সরকারিকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশন চলাকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সংসদে প্রশ্নটি তোলেন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরন। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
দীপু মনি বলেন, বর্তমানে সারাদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মোট ২০ হাজার ৩১৬টি। এরমধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় (৬ষ্ঠ-৮ম) ২০৫৭টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় (৬ষ্ঠ-১০ম) ১৬ হাজার ৫১৬টি এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১৪৪৩টি। বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে কলেজ ও একটি করে বিদ্যালয় সরকারিকরণ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি জানান, চলমান নীতিমালার বাইরে নতুন কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করার লক্ষ্যে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে সারাদেশে ৩৫৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২০ হাজার ৯৬০টি। এরমধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান ৬৮৪টি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০ হাজার ২৭৬টি। এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদানে কর্মরত আছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৬৮ জন শিক্ষাগুরু। পাশাপাশি দেশে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটি এক লাখ ৯০ হাজার ২২জন। এদের মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা ৫৫লাখ ৭১ হাজার ৩৪৮ জন।
ওই প্রতিবেদনে ব্যানবেইস আরও জানিয়েছে, দেশের ৬৮৪ টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম রয়েছে ৬৫৯টি। আর ২০ হাজার ২৭৬টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম রয়েছে ১৫ হাজার ৮৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। দেশের সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম সুবিধা পায় ৭৯ লাখ ৫ হাজার ২২ জন বিপরীতে এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ২২ লাখ ৮৪ হাজার ৬০৩ জন শিক্ষার্থী।