প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোটা নিয়ে যা বললেন সচিব

ফরিদ আহাম্মদ
ফরিদ আহাম্মদ  © ফাইল ছবি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আলাদা একটা বিধিমালা আছে, সেটি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ নামে পরিচিত। এটি প্রজ্ঞাপন নয়, বিধিমালা। আইনের পর বিধিমালা, বিধিমালার পর প্রজ্ঞাপন, প্রজ্ঞাপনের পর অফিস আদেশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

প্রাথমিকের সচিব আরও বলেন, ‘আমাদের নিয়োগ বিধিমালাতে যেসব বিষয় আছে, সেই বিষয়গুলোর সঙ্গে সরকার এখন যে চাকরির কোটার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে, এটা আমাদের বিধিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক না। আমাদের বিধিমালাতে কোনো অসামঞ্জস্যতা নেই। আমাদের বিধিমালা স্পষ্ট। ওখানে যেমন ৬০: ২০ এই বিভাজনের কথা বলা আছে, তেমনি এটাও বলা আছে যে সরকার কোটাসংক্রান্ত কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করলে সেটা অনুসরণ করা হবে। আমরা যখন নিয়োগ কার্যক্রমে হাত দেব, তখন যদি আমাদের কাছে কোনো কনফিউশন মনে হয়, তাহলে তখন আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেব, সেই অনুযায়ী নিয়োগ কার্যক্রম চালাব।’

জানা গেছে, দেশে সরকারি চাকরির সব গ্রেডের নিয়োগে ৭ শতাংশ কোটা কার্যকরের নতুন সিদ্ধান্ত গত মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হয়েছে। তবে সরকারের কিছু দপ্তরে আলাদা নিয়োগবিধির কারণে এখনও কার্যকর রয়েছে বিভিন্ন বিশেষ কোটা। বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের (১১তম গ্রেড) নিয়োগে ৬০ শতাংশ নারী কোটা আছে। একইভাবে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৪তম থেকে ২০তম গ্রেড পর্যন্ত ৩০ শতাংশ পোষ্য কোটা রয়েছে। বিভিন্ন সেক্টর ও করপোরেশনের নিয়োগবিধি ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় সেখানে বিভিন্ন কোটা কার্যকর আছে। 

দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুসারে সরকারি চাকরির কোটার সংশোধন করে গত মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখা থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, সরকার এই মর্মে আদেশ জারি করছে যে, সমতার নীতি ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রজাতন্ত্রের কর্মে প্রতিনিধিত্ব লাভ নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থাৎ সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্বশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে/কর্মে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সকল গ্রেডে কোটা নির্ধারণ করা হলো– মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ।

এতে বলা হয়, নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্য পদ সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে।’ প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘২০১৮ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্রসহ আগে জারি করা এ-সংক্রান্ত সকল পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন, আদেশ, নির্দেশ, অনুশাসন রহিত করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

 

সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence