বাঁচানো গেল না জবি ছাত্রী অংকন বিশ্বাসকে

  © ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইংরেজি বিভাগের এমএ ১ম সেমিস্টার (২০২০-২০২১) শিক্ষাবর্ষের ১২তম ব্যাচের মেধাবী ছাত্রী অংকন বিশ্বাস ব্রেইন স্ট্রোকে মারা গেছেন। গতকাল রবিবার (৮ মে) রাত ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) আইসিউতে লাইফ সাপোর্ট অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল একই সাথে ব্রেইন স্ট্রোক ও হৃদপিণ্ডের ধমনীতে ব্লকের সৃষ্টি হলে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয় অংকন বিশ্বাস। পরে আসগর আলী হাসপাতাল থেকে বিএসএমএমইউ এর আইসিউতে ট্রান্সফার করা হয়েছিল। প্রথম থেকে তার অবস্থা গুরুতর ছিল।

আইসিউতে চিকিৎসা ব্যয় সামলাতে পরিবার যখন হিমশিম খাচ্ছিল তখন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় বন্ধুরা। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হলো না অংকনের।

অংকন বিশ্বাস ছিল জবির ১২তম ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী। ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট! অসাধারণ বিতার্কিক! টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করেছে একাধিকবার৷তার হাত ধরে ইংরেজি বিভাগে এসেছে বেশ কিছু ট্রফি৷মানুষ হিসেবে ছিল অনন্য, অতুল্য!

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ তার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

জবির ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দীন বলেন, অংকন বিশ্বাস ব্রেইন স্ট্রোকে মারা যাওয়ায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। অংকন বিশ্বাস অনার্স চূড়ান্ত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ১ম স্থান অর্জন করেছিল। এছাড়াও সে ভালো বিতার্কিক ছিল আন্তঃব্যাচ, আন্তঃবিভাগ, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়সহ জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে একাধিকবার অংশগ্রহণ করে সে বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্মানিত করেছে। তার এ অকাল মৃত্যু বিভাগের জন্য এক অপুরণীয় ক্ষতি।

এ সময় তিনি বিভাগের পক্ষ থেকে অংকন বিশ্বাসের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সহপাঠীদের মধ্যে শোক নেমে এসেছে।

১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী স্বরুপ দাস বালা অংকনকে নিয়ে এক আবেগ জড়িত একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেন, অংকন বিশ্বাস, শুধু নামটাই রয়ে গেল। কলাভবনে যে আর এই পরিচিত মুখটিকে দেখা যাবে না, এটা ভাবতেই অবাক লাগছে। মানুষ হঠাৎ করে কেমন হারায় যায়। ওপারে ভালো থেকো।


সর্বশেষ সংবাদ