প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পেরোলেও স্থায়ী মন্দির নেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী মন্দির
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী মন্দির  © টিডিসি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৯ সালে একটি অস্থায়ী মন্দির নির্মাণ করা হয়। তবে সংস্কারের অভাবে সেটি বর্তমানে প্রায় বেহাল অবস্থায় রয়েছে।

সম্প্রতি ঝড়ো বাতাসে মন্দিরের গেটসহ পুরো অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে স্থায়ী মন্দির নির্মাণের দাবি জানান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পার হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রীয় মন্দির নির্মিত না হওয়ায় তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অস্থায়ী মন্দিরটি একটি উঁচু-নিচু ও ঢালু জায়গায় নির্মিত হওয়ায় ঝড়-বৃষ্টির সময় সেখানে উপাসনা করাও সম্ভব হয় না। এই মন্দিরটিই ছিল তাদের উপাসনার একমাত্র স্থান, যা একটি জীর্ণ-শীর্ণ টিনের ঘরের ওপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে এটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী বিপ্লব দাস বলেন, “আমাদের একটি স্থায়ী মন্দির প্রয়োজন। বর্তমানে অস্থায়ীভাবে নির্মিত মন্দিরটি সামান্য ঝড়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা শুধু ধর্মীয় কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে না বরং বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মতো ভয়াবহ বিপদের সম্ভাবনাও তৈরি করে। এতে শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে। এছাড়া বৃষ্টির সময় মন্দির প্রাঙ্গণে পানি জমে যায়, যা অত্যন্ত দুর্ভোগজনক। প্রশাসনের উচিত দ্রুত একটি সুরক্ষিত ও স্থায়ী মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া।”

চারুকলা অনুষদের ডিন এবং সনাতন সংঘের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা একটি স্থায়ী উপাসনালয়ের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। সম্প্রতি ঝড়ে অস্থায়ী মন্দিরটি ভেঙে পড়ার পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেছে। এ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। স্থায়ী মন্দির নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত আরেকটি অস্থায়ী মন্দির তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যানে ত্রি-ধর্মীয় উপাসনালয়ের একটি প্রকল্প রয়েছে। সেখানে মন্দির অন্তর্ভুক্ত আছে। এটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলছে। মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি অস্থায়ী মন্দির দ্রুত নির্মাণ করে দেওয়া হবে।”


সর্বশেষ সংবাদ