মধ্যরাতে অনশনে যোগ দিলেন জবির অর্ধশতাধিক ছাত্রী

অনশনে যোগ দিলেন জবির অর্ধশতাধিক ছাত্রী
অনশনে যোগ দিলেন জবির অর্ধশতাধিক ছাত্রী  © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের অবশিষ্ট কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর এবং অস্থায়ী আবাসনের দাবিতে চলমান অনশনে সমর্থন জানিয়েছেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের অর্ধশতাধিক ছাত্রী। রবিবার রাত ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের অনশনস্থলে আসা এসব ছাত্রীরা জানিয়েছেন, তারা আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা দিতে হল থেকে বেরিয়েছেন।

এদিকে অনশনে থাকা ১৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনকে ন্যাশনাল হাসপাতালে এবং চারজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের কর্মকর্তা (সিনিয়র অফিসার) মো. রাকিব হোসেন বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসার পর আশা করা হচ্ছে তারা সুস্থ হয়ে উঠবেন।

অসুস্থ শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান তানজিল, দর্শন বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাওহীদুল ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফয়সাল মুরাদ, আশিকুর রহমান আকাশ, ফেরদৌস শেখ, জুবায়ের রিওন, শের আলী, সোহাগ আহমেদ এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী একেএম রাকিব।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন। তাদের অভিযোগ, প্রশাসন অসুস্থ শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তেমন কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করছে না এবং কিছু শিক্ষক জোর করে তাদের জুস খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন।

এদিকে, রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে অনশনস্থলে এসে উপস্থিত হন। এসময় তারা জানান, আমরা হলের সবাই আন্দোলনের সাথে একমত। যদি দরকার হয় আমরা হলের সবাই এখনি অনশনে বসতে রাজি। সারাদিন মেয়েরা ক্লাস-টিউশন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেনি। তবে এখন সবাই ক্লাস-পরীক্ষা বয়কটের জন্যও প্রস্তুত। 

এসময় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৪ ব্যাচের ছাত্রী সূচী বলেন, আমরা হল থেকে বের হয়েছি এখানে এসে বসবো বলে। আমাদের ভাইয়েরা যেহেতু এখানে আছেন, আমরাও এক-দুই ঘণ্টা কিংবা তিন ঘণ্টা এখানে থাকবো।

ইংরেজি বিভাগের ১৫ ব্যাচের ছাত্রী মিতু বলেন, আমরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়ার পক্ষে। আমরা আমাদের ভাইদের অনশনকে সমর্থন জানাতে এখানে এসেছি। 

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৪ ব্যাচের রিতা বলেন, যখন একেক করে আমার ভাইয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে তখন আমরা হল থেকে বের হয়ে আমাদের ভাইদের দেখতে এসেছি।


সর্বশেষ সংবাদ