ইবিতে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি

স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি
স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি  © টিডিসি ফটো

২৪ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে গঠিত আসন্ন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে এসে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রমের পক্ষে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেন।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে দুপুর ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর নিকট জমা দেয় ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। 

ছাত্র ইউনিয়নের দাবি, গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম চালুর দাবি দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করতে এবং গুচ্ছ পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতার যে সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না সেটা তুলে ধরতে আজকে এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি গুচ্ছ পদ্ধতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, শিক্ষা নীতি ও স্বতন্ত্রতা বজায় রাখা কঠিন হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থীরা মেধার সঠিক পরিচয় দিতে পারছে না। তাই ১১০০ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক সমর্থনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সম্মান দেখানো উচিত বলে মনে করে। 

ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, বিগত কিছুদিন আগে আমরা নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছিলাম, সেদিন ভিসি স্যার বরাবর স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিলাম। স্যার আমাদের সংগঠনকে বিষয়টা দেখবেন বা বিবেচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ প্রশাসন নেয়নি। আজকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর নিয়ে তা জমা দিয়েছি। এটা শুধু ছাত্র ইউনিয়নের দাবি না, এটা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সাধারণ শিক্ষার্থীর দাবি। আমরা চাইবো গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য দ্রুত কমিটি গঠন করা হোক।

গণস্বাক্ষর পত্রটি জমা নেওয়ার সময় ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একসাথে থাকার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি দিয়েছেন।  এতে ভালো ও খারাপ দিক দুটিই আছে। শিক্ষার্থীদের দাবি থাকতে পারে। তবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি এডমিনিস্ট্রেশনের অধীনে। যেহেতু একসাথে থাকার জন্য মিনিস্ট্রি শুরু থেকেই নির্দেশনা দিয়ে আসছে। সুতরাং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মানেই আইন বা আদেশ। গণস্বাক্ষরের বিষয়ে মিটিং এ প্রস্তাব উপস্থাপন করব।


সর্বশেষ সংবাদ