শহীদ শিশুদের স্মরণে নির্মিত গ্রাফিতি

শহীদ শিশুদের স্মরণে গ্রাফিতি: ‘যে ফুল ফুটিবার আগেই ঝরে গেলো।’ 
শহীদ শিশুদের স্মরণে গ্রাফিতি: ‘যে ফুল ফুটিবার আগেই ঝরে গেলো।’   © টিডিসি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি ও সহিংসতায় সারা দেশে অন্তত ৬৭ জন শিশু-কিশোর নিহত হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কাম ফর রোড চাইল্ড নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে টিএসসির করিডরে একটি গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়। দেয়ালে অঙ্কিত একটি গাছের পাতায় লেখা হয়েছে নিহত শিশুদের নাম। গ্রাফিতিটির স্লোগান, ‘যে ফুল ফুটিবার আগেই ঝরে গেলো।’ 

সরেজমিন দেখা যায়, করিডর দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়বে গ্রাফিতিটি। গ্রাফিতিটির শিরোনামে লেখা হয়েছে, ‘চব্বিশের গণআন্দোলনে নিহত ৬৭ জন শিশুর তালিকা’। গাছটির প্রতিটি পাতায় লেখা হয়েছে ৬৭ জন শিশু-কিশোরের নাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মামুনুর রহমান বলেন, এই আন্দোলনে শিশুদেরও অবদান ছিল। তারা বিভিন্ন ছবি অঙ্কন এবং সশরীরে আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন। এতে অন্তত ৬৭ জন শিশু-কিশোর নিহত হয়েছেন। তাদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে গ্রাফিতিটি। যেটি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার মতো কাজ করবে।

গ্রাফিতি অঙ্কনের বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি শাহীদ কাওসার বলেন, 'প্রতিটি শিশুই ফুলের মতো স্নিগ্ধ, পবিত্র এবং নিষ্পাপ। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিক্ষোভ দমনের সময় ৬৭ জন শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়েছে, যা খুবই মর্মান্তিক। দেশের ইতিহাসে ন্যক্কারজনক ঘটনা। হয়তো এদের মধ্যে কেউ বিজ্ঞানী, কেউ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাষ্ট্রনায়ক হতো। আমরা এই ফুলগুলোর স্মৃতি স্মরণে রাখতে এই গ্রাফিতি অঙ্কনের উদ্যোগ নিয়েছি।'

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত ৫৭ শিশুর মরদেহে গুলির চিহ্ন ছিল। এ ছাড়া দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৯ কিশোরের। একজনের মৃত্যু হয় সাউন্ড গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে।


সর্বশেষ সংবাদ