ইবি শিক্ষার্থীকে বাস ড্রাইভারের মারধর—প্রাণনাশের হুমকি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ক্যাম্পাসের ভাড়ায় চালিত বাস ড্রাইভার ও হেলপারের বিরুদ্ধে। বাসে বহিরাগতদের তুলতে নিষেধ করায় অভিযুক্তরা শিক্ষার্থীকে জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও পরিবহণ প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত রোকনুজ্জামান নিউ এসবি সুপার ডিলাক্স (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪৭৪৯৫) বাসের ড্রাইভার।

শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২ মার্চ) বিকাল ৩ টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে আসার উদ্দেশ্যে মজমপুর থেকে বাসে উঠে ভুক্তভোগী। এসময় বাসের স্টাফরা বহিরাগত যাত্রীদের বাসে তুলতে থাকেন। এতে ওই শিক্ষার্থী তাদের তুলতে আপত্তি জানিয়ে দ্রুত গাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কথা বললে—বাসের হেলপার অশ্লীল ভাষায় গালাগালি শুরু করে। এক পর্যায়ে তাকে জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেয় তারা।

পরে অভিযুক্তদের ওই কর্মকাণ্ডের প্রমাণ রাখার স্বার্থে ভুক্তভোগী ভিডিও করতে গেলে ক্যাম্পাসে আসলে তাকে দেখে নিবে এবং কুষ্টিয়া থেকে তুলে নিয়ে যাবে ইত্যাদি বলে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকেন তারা।

একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করার জন্য তার সাথে জোরাজোরি করতে থাকেন অভিযুক্তরা। ফোন দিতে রাজি না হলে—ওই শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। পরে আশপাশ থেকে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে তাকে ছেড়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যায় তারা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ড্রাইভার রোকনুজ্জামান বলেন, আমি আমার পরিচিত একজনকে গাড়িতে তুলেছিলাম। এসময় ওই ছেলে ভিডিও করে। তার পরিচয় জানার পর তার সাথে কোন ধরনের বাজে আচরণ করা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।

ভুক্তভোগী সানি বলেন, বহিরাগত যাত্রীদের বাসে তুলতে নিষেধ করায় তারা আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি এর বিচার চাই।

পরিবহণ প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা আলোচনা করেছি। অভিযুক্ত বাস ড্রাইভার ও হেলপারকে ক্যাম্পাসে বাস চালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমার জানামতে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। আর যদি এসে থাকে তাহলে কালকে বিষয়টি দেখব।


সর্বশেষ সংবাদ