পবিপ্রবিতে কর্মকর্তাদের লাগাতার আন্দোলন, রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবি

পবিপ্রবিতে কর্মকর্তা পরিষদের লাগাতার আন্দোলন
পবিপ্রবিতে কর্মকর্তা পরিষদের লাগাতার আন্দোলন  © টিডিসি ফটো

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়েছে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে অযোগ্য আখ্যা দিয়ে তার অপসারণ দাবি করেছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক কার্যক্রমের বাইরে রাখার দাবিও জানিয়েছেন তারা।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মবিরতি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় বক্তব্য রাখেন অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক ওয়াজকুরম্নণী, কর্মচারি পরিষদ সভাপতি মজিবুর রহমান মৃধা ও বঙ্গবন্ধু কর্মচারি পরিষদ সভাপতি শাহাদাত হোসেন পিয়েল। 

এদিকে রোববার বিকেলে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডিন কাউন্সিল, রেজিস্ট্রার ও আন্দোলনকারীদের পক্ষে ৬ জন আলোচনায় অংশ নেন।

দীর্ঘ ৪ ঘন্টা আলোচনা শেষে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: সাইদুর রহমান জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান অদক্ষ ও অযোগ্য রেজিস্ট্রারের অপসারণ, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে কর্মরত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বদলি, অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ণে কমিটি আপডেট করা, সহকারী রেজিস্ট্রার পদের স্কেল ষষ্ঠ গ্রেড এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদের স্কেল চতুর্থ গ্রেডে উন্নীত করা, অর্গানোগ্রাম কমিটিতে অফিসার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি রাখাসহ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কিছু দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও এখতিয়ার বহির্ভূত বিষয়গুলোর জন্য সময় চেয়েছেন। 

অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজকুরম্ননী বলেন, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে কর্মকর্তাদের আস্থা নেই। এজন্যই আমরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: কামরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ‘রিজেন্ট বোর্ডের’ সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছুই বলা বা করা আইনসিদ্ধ নয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতির বিষয়টি ভিসি রেজিস্ট্রারে এখতিয়ার বহির্ভূত। নিজের অপসারণের বিষয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, এ বিষয়ে আন্দোলনরত কর্মকর্তারাই ভালো বলতে পারবেন। 

উল্লেখ্য, সোমবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশন ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করে আসছে। চলমান আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারি পরিষদ সংহতি প্রকাশ করলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence