৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের সব কার্যক্রম বাতিলের দাবি

৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের সব কার্যক্রম বাতিলের দাবি
৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের সব কার্যক্রম বাতিলের দাবি  © সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে এই মুহূর্তে আলোচনায় বিসিএস’সহ বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) আওতাধীন বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসকাণ্ড। প্রশ্নফাঁসে যেসব নিয়োগ হয়েছে সেসব পরীক্ষা ও নিয়োগ বাতিল এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরকারি চাকরিপ্রত্যাশীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন। মানববন্ধনে ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের সব কার্যক্রম বাতিলের দাবি জানানো হয়। 

রোববার (১৪ জুলাই) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সামনে বিভিন্ন ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন অনেকেই। 

৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের সব কার্যক্রম বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবির পাশাপাশি অন্যান্য বিসিএস পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে নিয়োগ পাওয়ার ক্যাডারদের নিয়োগ বাতিল করে শূন্য পদে নিয়োগ এবং প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী চাকরিপ্রত্যাশী ব্যানারে অংশ নেওয়া কয়েকজন বলেন, গত ১৮ মার্চ জুনিয়র ইনস্ট্রাকটর ও ৫ জুলাই বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল ও নতুন পরীক্ষা নেওয়া ও জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। সেইসঙ্গে যারা এসব প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানাই। 

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভকারীরা পিএসসি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেবেন বলে জানান।  

এদিকে, বিসিএস পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নে উত্তীর্ণ হয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তালিকা প্রকাশ করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ নোটিশ পাঠান।

রোববার (১৪ জুলাই) ইমেইল ও ডাকযোগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছাড়াও বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 

নোটিশে বলা হয়েছে, বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা যায়, বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সাবেক গাড়ি চালক ও অন্যান্য কর্মচারী কর্তৃক গত কয়েক দশক ধরে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের নিকট সরবরাহ করে আসছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আবেদ আলীসহ কর্ম কমিশনের এ পর্যন্ত ১৭ জন কর্মচারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। 

আরও পড়ুন: বিসিএস প্রশ্নফাঁসে নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করতে আইনি নোটিশ

এছাড়া পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আবেদ আলী ও অন্যান্য অসাধু কর্মচারীরা কীভাবে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের মাঝে টাকার বিনিময়ে বিতরণ করে প্রত্যেকে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তার বিবরণ দিয়েছেন। পুলিশ আবেদ আলী ও কর্ম কমিশনের অন্যান্য কর্মচারীদের কাছ থেকে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রে উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তালিকা প্রণয়ন করছে।

 

সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence