৪৪তম বিসিএস: ১২ পরীক্ষককে নিয়ে বিপাকে পিএসসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৮ PM , আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪, ০৫:১২ PM
৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তবে ১২ জন পরীক্ষক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খাতা দেখার কাজ শেষ করতে পারেনি। এই পরীক্ষকদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ১০ থেকে ১২ জন তৃতীয় পরীক্ষক এখনো খাতা মূল্যায়নের কাজ শেষ করতে পারেননি। পরীক্ষকরা খাতা জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত ফল প্রকাশের বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৪তম বিসিএসের ৯ হাজার ২৯০টি খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। সব পরীক্ষকই খাতা দেখা শেষ করে খাতাগুলো পিএসসিতে জমা দিয়েছেন। তবে ১২ জন পরীক্ষক এখনো খাতা দেখা শেষ করতে পারেননি। এই পরীক্ষকদের অধিকাংশই একটি নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তারা খাতা দেখার জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন।
ওই সূত্র আরও জানায়, ঈদের আগে ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এই ১২ পরীক্ষকের কারণে সেটি সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরীক্ষকরা কবে খাতা মূল্যায়ন শেষ করে পিএসসিতে জমা দেবেন তার ওপর ফল প্রকাশের যাবতীয় বিষয় নির্ভর করছে।
জানা গেছে, ৪৪তম বিসিএসের ক্ষেত্রে সব পরীক্ষককে ১০০টি করে খাতা মূল্যায়নের জন্য দেওয়া হয়েছিল। খাতা দেখার জন্য তাদের ১৫ দিন করে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষকেরা খাতা দেখা শেষ করে তা পিএসসিতে জমা দিয়েছেন। দুই পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান যাচাই শেষে ৯ হাজার ২৯০টি খাতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হওয়ায় খাতাগুলো তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়েছে।
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ না হওয়ার কারণে আবেদনের সময় প্রায় এক মাস বাড়ানো হয়। এই বিসিএসে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন।
এরপর ২০২২ সালের ২৭ মে মাসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ জন প্রার্থী পাস করেন। ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।