শিক্ষার্থীদের শোক

করোনায় নর্থ সাউথ ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ মোজো মামার মৃত্যু

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক  © ফাইল ফটো

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) শিক্ষার্থীদের পরিচিতমুখ ক্যাম্পাসের চা বিক্রেতা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। নিজের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের জন্য এনএসইউয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি মোজো মামা নামে পরিচিত ছিলেন। 

গত মঙ্গলবার দিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এনএসইউ শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত আপনজন মোজো মামার। তার সংসারে এক ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নর্থ সাউথের দীর্ঘ দিনের পথ চলার সাথে যার স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। সেই বনানী ক্যাম্পাস থেকে বসুন্ধরা। ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ক্যাম্পাসে চা মানেই ছিল মোজো মামা।  ওনার চায়ের জাদুতে মুগ্ধ হয়ে সেই বনানী ক্যাম্পাস থেকে স্টূডেন্টদের দাবিতে তাকে বসুন্ধরা ক্যাম্পাসেও নিয়ে আসা হয়।

আজ শনিবার ইংরেজি সংবাদপত্র দ্য ডেইলি স্টারে মোজো মামাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন এনএসইউর শিক্ষার্থী সাদি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ। তিনি লিখেছেন, মোজো মামার প্রখর স্মৃতিশক্তি ছিল। কখনোই একজনের বিল অন্যজনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলতে দেখিনি আমি।

১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাজিন বলেন, কখনোই আমার তার সাথে কথা হয়নি। কিন্তু তিনি বুঝতেন আমার কী কী লাগবে। হাসিমুখে এক কাপ চা নিয়ে সামনে হাজির হতেন। তার দোকান থেকে একবার কেউ কিছু কিনলে তাকে চিরদিনের জন্য মনে রাখতেন। তিনি জানতেন কীভাবে মানুষকে খুশি করতে হয়।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদি রায়হান নাশিদ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মোজো মামার মৃত্যুর খবর শুনে হতবাক হয়ে যান। তিনি বলেন, তার একটা কাজ আমার সারাজীবন মনে থাকবে। একবার তার চা দোকানে প্রচণ্ড ভিড় ছিল, আমি চা নিতে পারছিলাম না। তিনি দূর থেকে তা খেয়াল করে চা হাতে করে এগিয়ে এসেছিলেন। এটা মাত্র ১০-১৫ টাকার ব্যাপার। কিন্তু তিনি যে ব্যবহারটা দেখিয়েছিলেন তা অমূল্য।