বশির-ফারুকীর অপসারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের দাবি

সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন  © সংগৃহীত

উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বশির-ফারুকীকে অপসারণের দাবি এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ছাত্র প্রতিনিধি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। 

বুধবার (১৩ নভেম্বর) প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত বাংলাদেশের ২.০ এর সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অবস্থান প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী হাসনাত, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি জাকের হোসেন মনজুর, গ্রীন ইউনিভার্সিটির জানে আলম, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের হৃদয় স্বজন প্রমুখ।

এছাড়া সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আটটি দাবি জানানো হয়েছে।

দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে:

১. বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত/নিহতদের পুনর্বাসন এবং হাসপাতালগুলোতে আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা দূর করা।
  
২. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং সিন্ডিকেট ব্যবস্থা বিলুপ্তির জন্য একটি ছাত্র-নেতৃত্বাধীন মনিটরিং টিম গঠন।

৩. উপদেষ্টা পরিষদে সদস্য মনোনয়নের জন্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন।

৪. গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে ছাত্র প্রতিনিধিদের অংশীদারিত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন।

৫. সংবিধানের পুনর্লিখন ও সংস্কার।

৬. প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আরোপিত ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহার।

৭. উপদেষ্টা হিসেবে স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রাখা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং কৃষিবিদ নিয়োগ।

৮. সংস্কার কার্যক্রমে জনমতের ভিত্তিতে পরিকল্পনা গ্রহণ।

৯. জনপ্রতিনিধি বিহীন সময়ের জন্য শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এসব দাবির মাধ্যমে তারা দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবদান রাখতে চান।


সর্বশেষ সংবাদ