প্রাথমিক শিক্ষক তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী, ইউপি সচিব কর্মকর্তা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৪৮ AM , আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৪৮ AM
ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদমর্যাদা দিতে যাচ্ছে সরকার। এর ফলে তারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের চেয়ে পদমর্যাদায় এগিয়ে যাচ্ছেন। কেননা সহকারী শিক্ষকরা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭১টি। প্রতিটি পরিষদে একজন করে সচিব আছেন। এই সাড়ে চার হাজার মানুষের দাবির মুখে এই পদটি তৃতীয় শ্রেণি থেকে সরকার দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করতে যাচ্ছে। গত ১৮ নভেম্বর সচিবদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করতে একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, ইউনিয়ন সচিবদের চেয়ে দেশে প্রাথমিকের শিক্ষক সংখ্যা ৮০ গুণেরও বেশি। বাংলাদেশে মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৯৩টি। সব মিলিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় চার লাখ। অথচ শিক্ষকদের বিষয়টি বিবেচনাতেই আনছে না সরকার।
আরও পড়ুন: শূন্য পদের বিপরীতে হবে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকরা ভীষণ হতাশ, বছরের পর বছর ধরে তাদের এই দুঃখের কথা সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু তাতে কোনো সংস্থাই গা করছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক জানান, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের অবস্থান বিভিন্ন দপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, উচ্চমান সহকারী, নিম্মমান সহকারী, হিসাব সহকারী, অডিটর, জুনিয়র অডিটর ইত্যাদি পদের সমান। অথচ আমাদের বলা হয়ে থাকে দেশ গড়ার কারিগর।
আরও পড়ুন: মায়ের কিডনিতে নতুন জীবন পেলেন বেরোবি শিক্ষার্থী জাহিদ
প্রাথমিক শিক্ষকদের এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকের শিক্ষকরা শিশুদের শিক্ষাজীবনের ভিত রচনা করেন। বিশ্বের সব উন্নত দেশেই এই শিক্ষকদের অত্যন্ত মর্যাদার আসনে রাখা হয়। কিন্তু আমরা তাদের তৃতীয় শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছি। এতেই বোঝা যায় আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার হতাশাজনক চিত্র। আমি মনে করি, প্রাথমিকের শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে।’