এনসিপি নেতা সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়নি: শহিদুল আলম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ১২:২৯ AM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০২:১৩ PM
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারওয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ফের আলোচনায় উঠে এসেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন বীথি সপ্তর্ষি। পরে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল। তবে তখন গ্রহণযোগ্য নিষ্পত্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী ড. শহিদুল আলম।
সোমবার (৬ মে) ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ড. শহিদুল আলম এই তথ্য জানান। ওই বিবৃতিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফাও স্বাক্ষর করেছেন।
ড. শহিদুল আলমের স্ট্যাটাসের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সারোয়ার তুষারকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। অনেকে বলছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেন প্রকাশিত হোক। সারোয়ার তুষার যদি দোষী হয়ে থাকেন, সেটাও প্রকাশ করা হোক।
বিবৃতিতে ড. শহিদুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্রচিন্তার একজন সদস্য সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত যৌন নিপীড়ন ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্য হিসেবে আমরা ৩০ জানুয়ারি ২০২১ থেকে এক বছর কাজ করেছি এবং ৩০ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে সর্বসম্মতিক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিই। এই ধরনের তদন্তের রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংবেদনশীলতার কথা বিবেচনা করে তদন্ত প্রসঙ্গে আমরা কোনো পাবলিক প্ল্যাটফর্মে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছি। এখনো থাকছি।’
সেখানো আরও জানানো হয়েছে, 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তীকালে অভিযুক্ত ব্যক্তির/সারোয়ার তুষারের নেতা হিসেবে রাজনৈতিক উত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটির নিষ্পত্তি নিয়ে আমাদেরকে অনেকে প্রশ্ন করেছেন। তাদের প্রশ্নের জবাবে আমরা শুধু এটুকুই বলতে পারি যে আমাদের মতে অভিযোগটির গ্রহণযোগ্য নিষ্পত্তি হয়নি। আমাদের এই মতামত দ্রুত রাষ্ট্রচিন্তাকে জানিয়ে দিলেও তারা আমাদের মতামত গ্রাহ্য করেনি।'
জানা গেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রচিন্তার অন্যতম সংগঠক সারোয়ার তুষারের বিষয়ে বীথি সপ্তর্ষি নামে এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে সংগঠনটি একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মির্জা তাসলিমাকে আহ্বায়ক করে আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া (পরবর্তী সময়ে জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার স্থানে আইনজীবী সাদিয়া আরমান) এবং গবেষক দিলশানা পারুলের সমন্বয়ে গঠিত ৫ সদস্যের কমিটি একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করে।