গাজায় ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে ইসরায়েল: সৌদি যুবরাজ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১০ AM , আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১০ AM
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করে নিন্দা জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। মুসলিম ও আরব নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ এ কথা বলেন। তিনি লেবানন ও ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলারও সমালোচনা করেছেন। খবর বিবিসি
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে নিন্দা জানিয়েছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। এক বছরেরও বেশি সময় আগে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলকে নিয়ে এটিই কোনো সৌদি কর্মকর্তার কঠোরতম প্রকাশ্য সমালোচনা।
সোমবার মুসলিম ও আরব নেতাদের এক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে সৌদি এই যুবরাজ লেবানন ও ইরানে ইসরায়েলি হামলারও সমালোচনা করেন। রিয়াদ এবং তেহরানের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত হিসেবে তিনি ইরানের ভূখণ্ডে হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সতর্কও করেন।
এদিকে ইসরায়েলকে আর কোনো আগ্রাসন না চালাতে এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানান মোহাম্মদ বিন সালমান। এ সময় ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে উপস্থিত অন্যান্য নেতারা সৌদি আরবের এই ডি ফ্যাক্টো বা প্রকৃত নেতার সঙ্গে যোগ দেন।
এ ছাড়া আরব দেশগুলোর জোট আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইতও গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোনো কথার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশা প্রকাশ করা যায় না।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না করতে পারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা। একই সঙ্গে ইসরায়েল গাজা ভখণ্ডের মানুষকে অনাহারে রাখছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
সম্মেলনে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেন, ইসরায়েল লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, কিন্তু এতে লেবানন আজ নজিরবিহীন সংকটের মুখোমুখি। এই যুদ্ধ দেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ অন্য বিশ্বনেতারা।