অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে সকল দুরভিসন্ধি দূরে ঠেলে আগানোর এখনই সময়
- ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
- প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৯ PM , আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৯ PM
আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ অতীতে দীর্ঘ ২৪ বছর সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক মারাত্মকভাবে শোষিত ও বঞ্চিত হয়েছিল। পাকিস্তানের শোষণ ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার লক্ষ্যে জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে গিয়েছেন স্বাধীন বাংলাদেশের নির্মাতা ও বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সামাজিক এবং রাজনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে প্রাণপণ প্রচেষ্টা ছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। ফলে অবাস্তব রাষ্ট্র পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাকালেই সেটিকে তিনি একটি ‘ভ্রান্ত প্রত্যুষ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। আর তাই সহনেতাদের নিয়ে বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথমে ভাষা আন্দোলনসহ ইস্যুভিত্তিক অধিকারের সংগ্রাম করেছেন, পরবর্তীতে সংসদীয় রাজনীতির মাধ্যমে আমাদের অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয়েছেন। চূড়ান্ত পর্যায়ে, রাজনৈতিক পদ্ধতিতে সমাধানের সব পথ রুদ্ধ হওয়ার পর, সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের সময় অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে যথাযথ মনোনিবেশ করেছিল বঙ্গবন্ধুর সরকার। স্বপ্ন ছিল তার ‘সোনার বাংলা’ অর্জনের। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথচলাকে রুদ্ধ করে দিতে চেয়েছিলো। স্বাধীনতা বিরোধীদের এমন অপপ্রচেষ্টার ফলে অনেকটায় পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির কুশাসনে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তৈরি হয়েছিল অনেকগুলো দুরভিসন্ধি। সেই দুরভিসন্ধি সমাধানে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান অবর্ণনীয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর যাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিদ্যমান সকল দুরভিসন্ধি দূর করে প্রতিনিয়ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সমৃদ্ধির পথে। সুতরাং অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে সকল দুরভিসন্ধি দূরে ঠেলে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময়।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই এগোচ্ছিল। মাত্র ৮ বিলিয়ন (মতান্তরে ৬ বিলিয়ন) ডলারের অর্থনীতি তার আমলেই ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল। সেই অর্থনীতির আকার আজ ৪৬৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, বঙ্গবন্ধু সরকারের সাড়ে তিন বছরে আমাদের মাথাপিছু জিডিপি (কারেন্ট ইউএস ডলারে) ১৮৬ শতাংশ বেড়ে ৯৯ ডলার থেকে ২৬০ ডলারে উন্নীত হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে শারীরিকভাবে হারানোর পরই এ অভিযাত্রায় ছেদ পড়ে। ১৩ বছর পর তার রেখে যাওয়া মাথাপিছু জিডিপির সমান করতে পেরেছিল পঁচাত্তর-উত্তর বাংলাদেশ। তাছাড়া তাকে হারানোর পরের ২২ বছরে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে মাত্র ৫২ শতাংশ। ১৯৯০-এর পর দেশে গণতান্ত্রিক শাসন একটি মাত্রায় ফেরার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অভিযাত্রাটি কিছুটা হলেও প্রাণ ফিরে পায়। মাঝে ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বাধীন সরকার শাসনভার গ্রহণ করায় প্রকৃত অর্থেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়ন শুরু হলেও সে যাত্রা আবার থেমে যায় ২০০১-এ। বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় একটি নাটকীয় উ উল্লষ্ফন শুরু হয় ২০০৮-এর পর যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা দ্বিতীয়বারের মতো দেশের শাসনভার কাঁধে নেন। বঙ্গবন্ধুহত্যা উত্তর এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার শাসনভার গ্রহণের আগ পর্যন্ত দীর্ঘকালীন সেনাশাসন এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির কুশাসনের ফসল হিসেবে অর্থনীতিতে যে দুরভিসন্ধি তৈরি হয়েছে তার প্রভাবে সাম্প্রতিক সময়ে সামষ্টিক অর্থনীতিতে খানিকটা চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছিল। এ কথা জোর দিয়ে বলা যায় যে গত এক যুগ দারিদ্র্য নিরসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করেছে। সব ধরনের দুরভিসন্ধি দূরে ঠেলে দিয়ে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য বিবিএসের সর্বশেষ খানা আয়-ব্যয় জরিপের তথ্যমতে, ২০১০ থেকে ২০২২ এ সময়কালে দেশের দরিদ্রতার হার ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। অতিদারিদ্র্যের হার ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে। মাথাপিছু আয়ও সময়ের ব্যবধানে ব্যাপক হারে বেড়েছে বলে বাংলাদেশের এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। ৬৯৯ ডলার থেকে প্রায় চার গুণ বেড়ে ২ হাজার ৬৮৮ ডলার হয়েছে (বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে)। ২০১০ সালে দেশের একটি গড় পরিবার মাসে ১১ হাজার ২০০ টাকা ব্যয় করত আর ২০২২ সালে এর পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৩১ হাজার ৫০০ টাকা। মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করার পরও এ সময়ে একটি পরিবারের গড় ভোগের প্রকৃত পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে অর্থনৈতিক মুক্তি লাভে বাংলাদেশের যে পথচলা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন তার ধারাবাহিকতা এখনো চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিদ্যমান সব ধরনের দুরভিসন্ধি দূরে ঠেলে দিয়ে বাংলাদেশের গত ১৪-১৫ বছরের অর্জনগুলো সন্তুষ্ট হওয়ার মতো। সামনের ১৪-১৫ বছরে আরো বড় অর্জন করা সম্ভব-এ কথাও সত্য। তবুও মনে রাখা চাই যে এ সম্ভাবনাগুলোকে বাস্তবে রূপ দেয়ার ক্ষেত্রে বড় বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। বিশেষ করে প্রথমে করোনা মহামারি এবং পরে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে আগে থেকে হাজির থাকা চ্যালেঞ্জগুলো আরো কঠিন হয়েছে এবং নতুন নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে চলতি ও আর্থিক হিসাবের ভারসাম্য টানাপড়েন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্ষয়ে যাওয়া এবং মূল্যস্ফীতির উল্লম্ফনের মতো চ্যালেঞ্জগুলোকে বাজারবান্ধব নীতি কৌশলে বাগে আনার কঠিন কাজগুলো এখনো নীতিনির্ধারকদের পুরোপুরি আয়ত্তে আসেনি। দেশে তিন কোটির বেশি নাগরিক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের এযাবৎকালের বিনিয়োগ দারিদ্র্য নিরসনে বেশ সহায়ক হয়েছে। কিন্তু আগামীতে নিম্ন-মধ্যম আয়ের ও উন্নয়নশীল দেশের বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নতুন ধরনের সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে এগোতে হবে। তবে কেবল সামাজিক নিরাপত্তা দিয়ে সামাজিক পিরামিডের পাটাতনের মানুষের টেকসই সুরক্ষা হবে না। তাদের জন্য বাড়তি কাজের সুযোগও সৃষ্টি করতে হবে। আনুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে আমরা প্রতি বছর মাত্র দুই লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছি। অথচ শ্রমশক্তিতে প্রতি বছর ২০ লাখ নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে। আগামী দিনের শ্রমশক্তিকে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে তাই কারিগরি শিক্ষার হারে ব্যাপক অগ্রগতি দরকার।
এইসবের পাশাপাশি আমাদের আরোও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে অর্থনৈতিক মুক্তি লাভের জন্যে। আমরা জানি, ২০২৩ সাল জুড়েই উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভুগেছে সর্বস্তরের মানুষ। বিশেষ করে যারা স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের ক্রয়ক্ষমতার অবনমন হয়েছে। এছাড়া নিম্ন মধ্যবিত্তদের ওপরও মূল্যস্ফীতির একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, এ বছর আমাদের প্রথম কাজ হিসেবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আমাদের নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে শ্রমবাজারে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। নতুন বছরে বিনিয়োগ চাঙ্গা না হলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে জড়িত যে-সব বিষয় রয়েছে সেসব দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে। পাশাপাশি সুদহার নীতিতেও পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুদহার নীতি প্রণয়ন করতে হবে। অন্যদিকে সঞ্চয়কারীদেরও বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা করা জরুরি। এক্ষেত্রে বাজারের সঙ্গে যদি সমন্বয় করে আমাদের সুদহার নীতি গ্রহণ করা হয় তাহলে সঞ্চয়কারীর সংখ্যা বাড়বে। এছাড়া আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার যে বিনিময় হার রয়েছে সেটাকে বাজারের সঙ্গে সমন্বয়ের হার অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালু রাখতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে বাজারে মুনাফালোভীদের একচেটিয়া যে আধিপত্য বিগত সালগুলোয় আমরা লক্ষ্য করেছি সেখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরদারি বাড়াতে হবে।
এছাড়া ঋণখেলাপি বা করখেলাপি ছাড়াও আমাদের যেসব বিষয়ে এবছর বাড়তি নজর দিতে হবে তা হচ্ছে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জোর দেয়া। অর্থনীতি-সংশ্লিষ্ট যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সক্ষমতাও অর্জন করতে হবে। এসব জায়গায় বহু বছর ধরেই দুর্বলতা রয়েছে যার প্রভাব কিন্তু আমাদের অর্থনীতির জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। শুধু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে সেজন্য আমরা কাজ করব বিষয়টি যেন এমন না হয়, আমাদের নিজস্ব গরজেও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া প্রকৃত অর্থে আমাদের বিভিন্ন সংকট মোকাবেলায় আমরা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারব না। সুতরাং আমাদের নিজস্ব তাগিদ থেকেই এসব সংস্কার আমাদের করতে হবে। অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে যেসব আইনের কথা বলা হয়েছে আমরা যেন সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি সেদিকটাও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। খেলাপি ঋণের ফলে সরকার যে বোঝা বহন করছে সে বিষয়েও সতর্ক হতে হবে। কারণ সরকারের হাতে অর্থ না থাকলে তারা ব্যয় কীভাবে করবে? সরকারের হাতে ব্যয়ের জন্য যখন প্রয়োজনীয় অর্থ থাকবে কেবল তখনই ব্যয়ের প্রশ্ন যুক্তিযুক্ত। আওয়ামী লীগ সরকার অতীতের ন্যায় এসব বিষয়ে খেয়াল রেখে নতুন নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করে বাঙালি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করবেন এতে কোনো সন্দেহ নেই।
এভাবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আশা করা যায় মোটামুটি ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারলেই ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। আর ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করলে সেখানে পৌঁছানো যাবে ২০৩০ সালেই। মাঝামাঝি প্রবৃদ্ধি নিয়ে হয়ত ২০৩৫ সালেই আমরা ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হতে পারি। তবে এজন্য সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে যেমন আশাবাদী উদ্যোগ দরকার, তেমনি দরকার যথাযথ সংবেদনশীলতা দেখিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মানসিকতাও। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের এই ধরনের চেষ্টা। আমাদের প্রত্যাশা অচিরেই জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার অর্থনীতিতে বিদ্যমান দুরভিসন্ধিগুলোকে দূরে ঠেলে দিয়ে সমৃদ্ধশালী এক অর্থনীতি গড়ে তুলে বাঙালি জনগণের বহুল আকাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করবেন।
লেখক: উপাচার্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।